ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী জাতিসংঘের সংস্থার প্রধান সোমবার অভিযোগ করেছেন, গাজায় ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি যখন বেঁচে থাকার জন্য তাদের পরিষেবার ওপর নির্ভর করছে, তখন ইসরাইল তাদের নির্মূল করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিশেষ বৈঠকে কমিশনার জেনারেল ফিলিপে লাটসারিনি বলেন, “আনরা তার কার্যক্রমকে দুর্বল করতে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের বন্ধ করে দেয়ার জন্য একটি ইচ্ছাকৃত ও সমন্বিত কার্যক্রমের মুখোমুখি হচ্ছে।”
আনরা হলো ‘নিকট প্রাচ্যে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা’র নামের সংক্ষিপ্ত রূপ।
লাটসারিনি বলেন, “এই প্রচারণার একটি অংশ হলো, দাতাদের অবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলা এবং এজেন্সির খ্যাতি কলঙ্কিত করার জন্য পরিকল্পিত ভুল তথ্যের বন্যা বইয়ে দেয়া।
জানুয়ারিতে ইসরাইল লাটসারিনির কাছে তথ্য উপস্থাপন করেছিল যে, ইসরাইলের অভ্যন্তরে ৭ অক্টোবরের সন্ত্রাসী হামলায় আনরার ১২ জন কর্মী জড়িত ছিল। এরপর থেকে আনরা অস্তিত্বের সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ১৬ জন দাতা মোট ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল স্থগিত করেছে।
একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত ২৯ জানুয়ারি শুরু হয়। একই সময়ে প্রাক্তন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলনার নেতৃত্বে একটি স্বাধীন পর্যালোচনা এবং তিনটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান গবেষণা কেন্দ্রের একটি প্যানেল সংস্থাটির নিরপেক্ষতা মূল্যায়ন করছে। এপ্রিলে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।
ইসরাইলের সমালোচনা
ইসরাইলের কর্মকর্তারা বছরের পর বছর ধরে সংস্থাটির সমালোচনা করে আসছেন। তাদের অভিযোগ, হামাস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের স্কুলগুলো ব্যবহার করে, এতে অস্ত্র মজুদ করে এবং স্কুলগুলোর নিচে সুড়ঙ্গ রয়েছে। এতে আরও বলা হয়, স্কুলগুলো ইসরাইল বিরোধী পাঠ্যক্রম প্রচার করে।
বার জন কর্মীর বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবরের অভিযোগের পর ইসরাইলি বাগাড়ম্বর আরও জোরদার হয়েছে। ইসরাইলের কর্মকর্তারা এমনকি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পর্যন্ত আনরা ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার জাতিসংঘের ইসরাইলের দূত বলেছেন, ৭ অক্টোবরের হামলার আগেও আনরা “সবসময় সমস্যার অংশ ছিল, কখনোই সমাধানের অংশ ছিল না।”