অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় জাহাজডুবি


এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইয়েমেন উপকূলে মালবাহী রুবিমার জাহাজ ডুবে যাচ্ছে (২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) ।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইয়েমেন উপকূলে মালবাহী রুবিমার জাহাজ ডুবে যাচ্ছে (২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) ।

শনিবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় লোহিত সাগরের একটি জাহাজ ডুবে গেছে। গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে, ইরান সমর্থিত হামাসের অভিযানের অংশ হিসেবে এটিই প্রথম জাহাজ হামলা।

হুথিদের হামলায়, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য দিয়ে ইউরোপে আসা মালামাল ও জ্বালানি চালানের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে জাহাজ চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হলো। রুবিমার ডুবে যাওয়ার ঘটনাটি সেই প্রেক্ষাপটেরই অংশ।

ইতোমধ্যে এ রুট থেকে অনেক জাহাজই রাস্তা বদলে নিয়েছে। এই রাস্তার দুর্ঘটনার কারণে জলপথে চলাচলকারী জাহাজগুলির চলাচলের পরিধি বেড়ে উচ্চ বীমা হারের ঝুঁকির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যার কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই অঞ্চলে ত্রাণ চালান প্রভাবিত হতে পারে।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনের সরকার এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আঞ্চলিক সামরিক কর্মকর্তা জাহাজটি ডুবে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই দূর্ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে তার কদা বলার অনুমতি না থাকায় তার নাম প্রকাশ করা যায়নি।

রুবিমারের বৈরুত ভিত্তিক ব্যবস্থাপকের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

লোহিত সাগরে ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার রাতে রুবিমার ডুবে যায় বলে জানায় ইয়েমেনের নির্বাসিত সরকার যেটি ২০১৫ সাল থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সমর্থন পেয়ে আসছে। হামলার পর ১২ দিন পরিত্যক্ত থাকার পর জাহাজটিকে নিরাপদ বন্দরে টেনে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করা হয়।

হামলার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জাহাজটি ডুবে গেছে বলে মিথ্যা দাবি করে হুথিরা। যদিও, তাৎক্ষণিকভাবে জাহাজটি ডুবে যাওয়ার কথা স্বীকার করেনি তারা ।

জাহাজটির সারের কার্গো এবং জাহাজ থেকে জ্বালানি লিক হয়ে লোহিত সাগরের পরিবেশগত ক্ষতি হতে পারে বলে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড।

XS
SM
MD
LG