রবিবার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন আশা করছে যে সুইজারল্যান্ডের পরিকল্পনা করা একটি শান্তি সম্মেলন রাশিয়ার বিরুদ্ধে দুই বছরের যুদ্ধের অবসানের জন্য কিয়েভের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করবে এবং সেই শান্তি পরিকল্পনার রূপরেখা রাশিয়ার কাছে উপস্থাপন করা হবে।
কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের নেতা সাংবাদিকদের বলেন, "আমি আশা করি তা এই বসন্তে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের কোনভাবেই এই কূটনৈতিক উদ্যোগটি হারানো উচিত হবে না,"
জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ, অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক একটি সম্ভাবনার কথা বলেছেন, যেখানে ইউক্রেন এবং তার বিদেশী অংশীদাররা কিয়েভের শর্তাবলী অনুযায়ী মস্কোর আগ্রাসন বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনার করার জন্য, এই সম্মেলনে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে।
রবিবার ইয়ারমাক বলেন, "এমন একটি পরিস্থিতি হতে পারে যেখানে রুশ ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং তাদের কাছে এই পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করা হবে, সেখানে যদি সেই সময়ে এমন কেউ থাকেন যিনি আগ্রাসী দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন কিন্তু তারা সত্যিকার অর্থে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চান এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তি ফিরিয়ে আনতে চান।"
ইউক্রেনকে সহায়তা
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ রবিবার বলেন, ইউক্রেনকে যে পশ্চিমা সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা তার অর্ধেক প্রতিশ্রুত সময়ের তুলনায় বিলম্বে সরবরাহ করা হয়, যা প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাকে দুর্বল করে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত সৈন্যদের জীবন বিপন্ন করে।
"এই মুহুর্তে, প্রতিশ্রুতি মানেই সরবরাহ নিশ্চিত করে না," 'ইউক্রেন বর্ষ ২০২৪ ফোরাম'-এ এ’কথা বলেন উমেরভ। ফোরামটি রাশিয়ার আগ্রাসনের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে৷
তিনি বলেন প্রতিটি সহায়তা চালান বিলম্বিত হওয়ার অর্থ ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ক্ষয়ক্ষতি, এবং রাশিয়ার সামরিক শক্তি আর আকাশে তাদের আধিপত্য জোরদার হওয়া।
রবিবারের শুরুতে উমেরভ এবং সেনাপ্রধান ওলেকসান্ডার সিরস্কি ক্রমবর্ধমান গোলাবারুদের ঘাটতি এবং পূর্বাঞ্চলে অবিরাম রুশ আক্রমণের মধ্যে ফ্রন্টলাইনের সেনা চৌকি পরিদর্শন করেন।
সিরস্কি টেলিগ্রাম অ্যাপ-এ দেয়া এক আপডেটে বলেন, তাদের সফরের সময় তারা ফ্রন্টলাইনের সৈন্যদের কাছ থেকে সব শুনেন এবং যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি "গভীরভাবে বিশ্লেষণ" করেন, যেটি তিনি "কঠিন" হিসাবে বর্ণনা করেন।
ইউক্রেন এই মাসে তীব্র যুদ্ধের পরে কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর আভদিভকা হারানোর পর, এবং কিয়েভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ার ফলে দেশটি যুদ্ধক্ষেত্রে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।