অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জুলিয়ান আসাঞ্জঃ যুক্তরাষ্ট্র বলছে, উইকিলিক্স প্রতিষ্ঠাতা সোর্সের নাম প্রকাশ করে জীবন বিপন্ন করেছেন


সেন্ট্রাল লন্ডনে ব্রিটেনের হাইকোর্টের রয়্যাল কোর্ট অফ জাস্টিসের বাইরে একটি বিক্ষোভ চলাকালে একজন বিক্ষোভকারী "জুলিয়ান এসাঞ্জের স্বাধীনতা চাই" লেখা একটি প্ল্যাকার্ড ধরে আছে।
সেন্ট্রাল লন্ডনে ব্রিটেনের হাইকোর্টের রয়্যাল কোর্ট অফ জাস্টিসের বাইরে একটি বিক্ষোভ চলাকালে একজন বিক্ষোভকারী "জুলিয়ান এসাঞ্জের স্বাধীনতা চাই" লেখা একটি প্ল্যাকার্ড ধরে আছে।

উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জকে ব্রিটেন থেকে প্রত্যার্পণ ঠেকাতে লড়াই করার সময় যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা বুধবার বলেছেন, রাজনৈতিক মতামত নয়, উৎসের নাম প্রকাশের দায়ে আসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিরা ৫২ বছর বয়সী আসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় নথি ও কূটনৈতিক তার বার্তার বিপুল সম্ভার ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে চাইছেন।

.তাদের যুক্তি, ফাঁসগুলো তাদের এজেন্টদের জীবনকে বিপন্ন করেছে এবং তার অপরাধের কোনো ক্ষমা নেই। তবে আসাঞ্জের সমর্থকরা তাকে একজন সাংবাদিক ও সাহসী মানুষ হিসেবে অভিহিত করেছেন, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যায় কাজ উন্মোচন করার জন্য নির্যাতন করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার আসাঞ্জের আইনজীবীরা লন্ডনের হাইকোর্টকে বলেছেন, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের যুক্তি, আসাঞ্জকে “রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অপরাধ” প্রকাশ করার জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তাকে কীভাবে হত্যা করা যায় সে সম্পর্কে “বিস্তারিত বিকল্প” ভাবার অনুরোধ করেছিলেন।

তবে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা বলেছেন, আসাঞ্জের বিচার ‘আইনের শাসন ও প্রমাণের ভিত্তিতে’ করা হয়েছে।

ক্লেয়ার ডবিন আদালতকে বলেন,“আপিলকারীর প্রসিকিউশন নজিরবিহীন হতে পারে, তবে তিনি যা করেছেন তা-ও নজিরবিহীন।”

ডবিন বলেন, আসাঞ্জ নির্বিচারে এবং জেনেশুনে এমন ব্যক্তিদের নাম বিশ্বের কাছে প্রকাশ করেছেন যারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তথ্যের সোর্স হিসেবে কাজ করেছেন।

আসাঞ্জের আইনজীবী ও তার স্ত্রী স্টেলা আসাঞ্জ জানিয়েছেন, বুধবার আসাঞ্জ নিজেও আদালতে উপস্থিত ছিলেন না এবং অসুস্থ থাকায় দূর থেকে আদালতের কার্যক্রমও দেখছিলেন না।

অস্ট্রেলিয়ার এই নাগরিকের আইনি লড়াই শুরু হয় ২০১০ সালে। ২০১৯ সালে জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কারাগারে পাঠানোর আগে সাত বছর তিনি ইকুয়েডরের দূতাবাসে লুকিয়ে ছিলেন।

এরপর থেকে তাকে লন্ডনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত কারাগারে রাখা হয়েছে, এমনকি সেখানে থাকার সময়ে তিনি বিয়ে করেছেন। অন্যদিকে ব্রিটেন অবশেষে ২০২২ সালে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের অনুমোদন দিয়েছে।

XS
SM
MD
LG