অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মাইকেল জর্ডান


ফাইল - মাইকেল জর্ডান এনবিএ শিরোপা জেতার পর উল্লাস করছেন।
ফাইল - মাইকেল জর্ডান এনবিএ শিরোপা জেতার পর উল্লাস করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ফেব্রুয়ারি মাসকে 'ব্ল্যাক হিস্টরি মান্থ' হিসাবে পালন করা হয়। এর মাধ্যমে এই দেশের ইতিহাসে যেসব কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক বা ঘটনা বিশেষ অবদান রেখেছে , সেগুলো তুলে ধরা হয়। এর অংশ হিসাবে ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা এই দেশের বিখ্যাত কিছু কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের অবদানের কথা তুলে ধরছে।

মাইকেল জর্ডান

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া জগতে বিশ্ব মানের অনেক কৃষ্ণাঙ্গ অ্যাথলিটের আবির্ভাব হয়েছে। কিন্তু যাদের নামের সাথে ‘লেজেন্ড’ বা কিংবদন্তী শব্দটি বিনা দ্বিধায় ব্যবহার করা যায়, তাদের মধ্যে মাইকেল জর্ডান হচ্ছেন অন্যতম।

‘’মাইকেল জর্ডান সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাস্কেটবল প্লেয়ার,’’ বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন বা এনবিএ তাদের ওয়েবসাইটের ইতিহাস পাতায়।

‘’তিনি একজন বিস্ময়কর অ্যাথলিট, যার মধ্যে আছে সৌন্দর্য, গতি, মুহূর্তের মধ্যে নতুন পথ বের করার ক্ষমতা আর প্রতিযোগিতার অদম্য স্পৃহার এক অনন্য সংমিশ্রণ,’’ এনবিএ এভাবেই মাইকেল জর্ডানকে মূল্যায়ন করেছে।

আজকাল অনেকেই মাইকেল জর্ডানকে একজন বিলিওনেয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে দেখেন, বিশেষ করে তারা যখন দেখেন স্পোর্টস জুতা প্রস্তুতকারক নাইকে-র সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ডগুলোর অন্যতম হচ্ছে ‘এয়ার জর্ডান।‘ মাইকেল জর্ডান নিজেই একটি ‘গ্লোবাল ব্র্যান্ড।’

এমন কী, জর্ডানের সমসাময়িক প্রেয়াররাও স্বীকার করতে দ্বিধা করেন না যে, ‘এমজে’-র প্রতিভা ছিল অনন্য। ম্যাজিক জনসন, বাস্কেটবল জগতে যিনি নিজেও একজন সুপারস্টার, বলেছেন, ‘’একদিকে মাইকেল জর্ডান, আর ঐ দিকে আমরা বাদবাকি সবাই।’’

মাইকেল জর্ডান এবং ডান পাশে কোচ ডীন স্মিথ। ৫ মে ১৯৮৪। নর্থ ক্যারোলাইনা।
মাইকেল জর্ডান এবং ডান পাশে কোচ ডীন স্মিথ। ৫ মে ১৯৮৪। নর্থ ক্যারোলাইনা।

জর্ডানের জন্ম হয়েছিল নিউ ইয়র্ক শহরের ব্রুকলিনে, কিন্তু তিনি বড় হয়েছেন নর্থ ক্যারোলিনা রাজ্যে। অল্প বয়সে তাঁর উচ্চতা কম হওয়ায় (৫ ফুট ১১) স্কুলের বাস্কেটবল টিম থেকে বাদ পড়েন। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে তাঁর উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে ৬ ফুট ৩ ইঞ্চিতে পৌঁছায়।

নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া-লেখার সময় জর্ডান দু’বার দ্য স্পোর্টিং নিউস পত্রিকার ‘কলেজ প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার’ সহ আরও কিছু পুরষ্কার পান এবং তারকা খ্যাতি অর্জনের পথে তাঁর যাত্রা শুরু হয়ে যায়।

মাইকেল জর্ডান ১৯৮৪ সালের অলিম্পিক গেমসে যুক্তরাষ্ট্র দলের সাথে বাস্কেটবলে স্বর্ণ পদক পান। একই বছর তিনি পেশাদারি এনবিএ দল শিকাগো বুলস-এ যোগ দেন। পেশাদারি বাস্কেটবল প্লেয়ার হিসেবে তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম বছর তিনি এনবিএ ‘রুকি অফ দ্য ইয়ার’, অর্থাৎ বছরের সেরা নতুন খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

মাইকেল জর্ডানের দলীয় এবং ব্যক্তিগত ট্রফি তালিকা দীর্ঘ, যার মধ্যে রয়েছে ছয়টি এনবিএ চ্যাম্পিয়নশিপ। পাঁচবার তিনি এনবিএ ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ বা এমভিএ নির্বাচিত হয়েছেন। ছয়বার তিনি এনবিএ ফাইনাল খেলায় এমভিএ পুরষ্কার পেয়েছেন।

তবে পর্যবেক্ষকরা যেমন বলেন, শুধুমাত্র তাঁর ট্রফি বা পুরষ্কারের তালিকা দিয়ে আমেরিকার ক্রীড়া জগতে মাইকেল জর্ডানের বিশাল প্রভাবের মূল্যায়ন করা সম্ভব না।

XS
SM
MD
LG