গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনী আকাশ ও স্থলপথে হামলা চালিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, অক্টোবর থেকে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত দিনের হামলায় ১০৭ জন নিহত হয়েছে এবং গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি অভিযানে আহতদের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মন্ত্রণালয় তাদের পরিসংখ্যানে বেসামরিক নাগরিক ও জঙ্গিদের একত্রে হিসেব করলেও তারা জানিয়েছে, গাজায় হতাহতের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে সোমবার হামলার খবর দিয়েছে। এদিকে, পাশেরই রাফাহ শহরে ইসরাইলের পরিকল্পিত আক্রমণ নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ রয়ে গেছে।
ইসরাইলের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল বেনি গ্যান্টজ যিনি সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভার সদস্য, রবিবার বলেন যে, গাজায় আটকে রাখা বাকি জিম্মিদের মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাসের আগে হামাস মুক্তি না দিলে “লড়াই রাফাহ অঞ্চল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে।”
রমজান মাস সম্ভবত শুরু হবে ১০ মার্চ থেকে।
গ্যান্টজ আরও বলেন, এলাকা খালি করার প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে ও “বেসামরিক নাগরিকদের যতটা সম্ভব ক্ষয়ক্ষতি কমাতে” মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমন্বয় করে ইসরাইল রাফাহতে আক্রমণ চালাবে।
রাফাহের অবস্থান মিশর সীমান্তের পাশে হওয়ায় এবং গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ইসরাইলের পাল্টা হামলায় ব্যাপক ধ্বংসলীলা চলায় ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকরা নিরাপদে কোথায় যেতে পারে তা এখনও অস্পষ্ট।
নেতানিয়াহু রবিবার বলেছেন, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে ইসরাইল তাদের “কাজ সমাপ্ত” করতে চায়।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের “একপাক্ষিক স্বীকৃতি”র জন্য ইসরাইলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশের আহ্বান রবিবার ইসরাইল প্রত্যাখ্যান। তারা বলেছে, বোঝাপড়া ও সমঝোতার মাধ্যমেই কেবল এই ধরনের কোনও চুক্তিতে পৌঁছনো সম্ভব হতে পারে।