যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা শুক্রবার ইউক্রেনে মস্কোর নৃশংস যুদ্ধে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতির কথা প্রকাশ করেন। যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ নিহত বা আহত হয়েছেন। তাদের নৌবাহিনীর কমপক্ষে ২০টি জাহাজ ডুবে গেছে এবং সামরিক ব্যয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১,১০০ কোটি ডলারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেই কর্মকর্তার মতে, রাশিয়া অস্ত্র বিক্রি স্থগিত বা বাতিল করে আনুমানিক এক হাজার কোটি ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যা কিনা ২০২৬ সালের প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আরও ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার যোগের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করতে পারেনি।
বুধবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী, উচ্চ প্রযুক্তির নৌ ড্রোন ব্যবহার করে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার একটি অবতরণ জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে। রুশ কর্তৃপক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেন, রুশ নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে সাফল্যের মুখ দেখলেও ইউক্রেনের আভদিভকা শহরে রুশ স্থলবাহিনী তাদের সাফল্য অব্যাহত রেখেছে।
স্থল লড়াইয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী গোলাবারুদের ঘাটতিতে ভুগছে এবং তাদের পিছু হটার সম্ভাবনা রয়ে গেছে। একজন উর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, পরিপূরক তহবিল না পেলে কি হতে পারে তা বোঝাই যাচ্ছে। বিশেষত, ইউক্রেনীয়রা যেখানে গোলাবারুদের ঘাটতিতে ভুগছে।
তহবিল শেষ হয়ে যাওয়ায় ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নতুন করে কোনো সহায়তা পাঠায়নি। সিনেটের নতুন পাস হওয়া বিলটিতে ইউক্রেনের জন্য ৬ হাজার কোটি ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’এ দ্বিদলীয় সমর্থন রয়েছে বলে মনে করা হলেও আইনটি বর্তমানে হাউসের এজেন্ডা নিয়ন্ত্রণকারী হাউস রিপাবলিকান নেতাদের বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে।
নেটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের মতে, নেটো মিত্ররা কিয়েভকে ৯৯ শতাংশ সামরিক সহায়তা দেয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে তারা তাদের সমর্থন বাড়িয়েছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান বলেন, ”মিত্রদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশই সরবরাহ করে। তারা এই সহযোগিতা অব্যহত রাখবে।অন্যান্য মিত্রদের মাধ্যমে তা পূরন করা সম্ভব না।”
ভয়েস অব আমেরিকার জেফ সেলডিন এই প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন।