ফ্রান্স ও ইউক্রেন শুক্রবার একটি দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে চলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এইদিন প্যারিসে আসবেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দফতর বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে ঘোষণা করলেও এই চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্সি বলেছে, জেলেন্সকির সফরকালে “ইউক্রেন ও ইউক্রেনের জনগণের প্রতি সমর্থন দীর্ঘমেয়াদে এবং তাদের সকল সহযোগীদের সাথে নিয়ে, অটল রাখতে ফ্রান্সের সংকল্পকে পুনরায় ব্যক্ত করবেন” ম্যাক্রোঁ।
জেলেন্সকির দফতর বলেছে, তিনি শুক্রবার জার্মানিতেও সফর করবেন সে দেশের চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য।
শনিবারের মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনসহ এই সপ্তাহে একাধিক আন্তর্জাতিক জমায়েতের মধ্যে এই বৈঠকগুলি হতে চলেছে। মিউনিখে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে জেলেন্সকির।
প্রায় দুই বছর আগে শুরু হওয়া পূর্ণ মাত্রার রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন কীভাবে বজায় রাখা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার নেটোর প্রতিরক্ষা প্রধানরা ব্রাসেলসে বৈঠক করেন।
নেটো প্রধানের আশা
নেটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার বলেন, “ইউক্রেন যাতে প্রয়োজনীয় অস্ত্র, অন্যান্য সামগ্রী ও সামরিক সম্ভার পায় তা নিশ্চিত করতে” মিত্রশক্তিগুলির প্রতিরক্ষা খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি করা দরকার।
স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, তাঁর আশা, ডিসেম্বরে ইউক্রেনের জন্য অর্থায়ন শেষ হওয়ার পর এই দেশের জন্য নতুন সহায়তা প্যাকেজ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সম্মত হবে।
নেটো প্রধান সংবাদদাতাদের বলেন, “ইউক্রেনকে সমর্থন করা কোনও দাতব্য কাজ নয়, বরং ইউক্রেনকে সমর্থনের অর্থ হল আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা খাতে বিনিয়োগ করা।”
ইউক্রেন বৃহস্পতিবার বলেছে, সে দেশের কয়েকটি অঞ্চলকে নিশানা করেছিল রাশিয়ার একঝাঁক ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে, রাশিয়ার বেলগরোদ শহরের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনের এক হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে।
বেলগরোদ অঞ্চলের গভর্নর ভেচিস্লাভ গ্লাদকভ বলেন, ইউক্রেনের হামলায় আরও ১৮ জন আহত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেলগরোদ এলাকায় তারা ১৪টি রকেট ধ্বংস করেছে।