বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সংবেদনশীল সরকারি দলিলপত্র ভুলভাবে পরিচালনা করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তাঁর মামলার বৈপরীত্য জোরালোভাবে তুলে ধরেন, বিশেষ করে ট্রাম্পের আইনি লড়াইগুলোর সাথে। ওই একই দিনে সুপ্রিম কোর্ট এমন একটি মামলায় যুক্তিতর্ক শুনছিল যা ট্রাম্পকে প্রেসিডেনশিয়াল দৌড় থেকে সরিয়ে দিতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেষ মুহূর্তের মন্তব্যের জন্য সাংবাদিকদের ডেকে বাইডেন কঠোরভাবে এবং তিক্তভাবে রসিকতা করেছিলেন। তিনি “ইচ্ছাকৃতভাবে” গোপনীয় ফাইল নিজের কাছে রেখেছিলেন এবং অন্যদের গোপনীয় তথ্য দিয়েছিলেন বলে যে কথা দিনের শুরুতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাইডেন তা দৃঢ়তার সাথে অস্বীকার করেন।
“এই দাবিগুলো কেবল বিভ্রান্তিকরই নয়, এগুলো স্পষ্টই ভুল,” তিনি বলেন।
বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট হুরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আনা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, বাইডেনের অফিস ও বাড়িতে পাওয়া অনেক গোপনীয় নথি ভুলবশত সেখানে রেখে দেয়া হয়েছিল।
এর আগে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, তিনি ‘সন্তুষ্ট’ যে বিশেষ কৌঁসুলি “আমি এতদিন ধরে যা বিশ্বাস করেছিলাম সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন- এই মামলায় কোনো অভিযোগ আনা হবে না এবং বিষয়টি এখন সমাপ্ত হয়ে গেছে।”
বাইডেনের ব্যক্তিগত আইনজীবী বব বাউয়ারও এক বিবৃতিতে হুরের প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, হুর তদন্তের বিষয়টিকে “ভিত্তিহীন এবং অপ্রাসঙ্গিক সমালোচনামূলক মন্তব্য” দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
ক্ষমতা ছাড়ার পর গোপন নথি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪০টি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, বাইডেনের মামলাটি আমারটির চেয়ে ১০০ গুণ আলাদা এবং মারাত্মক। তিনি বলেন, “আমি কোনো ভুল করিনি এবং আমি আরও অনেক বেশি সহযোগিতা করেছি।”
ট্রাম্পের মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রথম ফেডারেল আদালতে অভিযোগ গঠন। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।