যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের সাথে তারা একমত যে, ৮ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বাক স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে সমবেত হবার অধিকার অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ব্যাহত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গণমাধ্যম কর্মীদের উপর আক্রমণসহ নির্বাচনে সহিংসতা, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের উপর বিধিনিষেধ, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগের উপর বিধিনিষেধের নিন্দা জানান।
‘’নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন,’’ মিলার বিবৃতিতে বলেন। ‘’হস্তক্ষেপ বা জালিয়াতির অভিযোগ সার্বিক ভাবে তদন্ত করে দেখতে হবে।’’
মিলার বলেন, ‘’আমরা প্রত্যাশা করছি, পাকিস্তানের জনগণের মতামত সম্বলিত পূর্ণ ফলাফল সময়মত প্রকাশ করা হবে।’’
নির্বাচন কর্মীদের প্রশংসা
পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক এবং নির্বাচনী প্রতিষ্ঠান সমুন্নত রাখার জন্য দেশের নির্বাচনী কর্মী, সুশীল সমাজ, মিডিয়া কর্মী এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশংসা করা হয়।
‘’রেকর্ড সংখ্যক নারী, ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘু আর তরুণ এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে,’’ মিলার বিবৃতিতে বলেন।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, যে দলই ক্ষয়তায় আসুক, যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী সরকারের সাথে অভিন্ন স্বার্থ নিয়ে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
‘’বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে উন্নত করার লক্ষ্যে আমাদের অংশিদারিত্ত আরও জোরদার করা হবে,’’ মিলার বলেন।
‘’পাকিস্তানের জনগনের যে শান্তি, গণতন্ত্র এবং সমৃদ্ধি প্রাপ্য, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ,’’ মিলার বিবৃতিতে বলেন।