যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার নেভাদার রিপাবলিকান প্রেসিডেন্সিয়াল ককাসে একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় তিনি এই নিয়ে টানা তিনটি রাজ্যে জয় পেলেন।
ট্রাম্পের শেষ বড় প্রতিদ্বন্দ্বী জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দূত নিকি হ্যালি এখনও প্রতিযোগিতায় রয়েছেন, তবে এই ককাসে তিনি অংশগ্রহণ করেননি, যদিও এই ককাস নেভাদার একমাত্র প্রতিযোগিতা যা রিপাবলিকান দলের মনোনয়নের জন্য গণ্য হবে।
হ্যালি উল্লেখ করেছেন, তাঁর বিবেচনায় এই প্রক্রিয়া সুষ্ঠু নয় এবং ট্রাম্পকে সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে তিনি মঙ্গলবার নেভাদার রাজ্য-পরিচালিত প্রতীকী প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ট্রাম্প, সব না হলেও, রাজ্যের ২৬ জন প্রতিনিধির অধিকাংশ পেয়ে যাবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে দলের মনোনয়ন পেতে তাঁর দরকার ১,২১৫ জন প্রতিনিধি এবং মার্চে তিনি এই সংখ্যায় পৌঁছাতে পারেন।
রিপাবলিকান দলের প্রতিযোগিতা নেভাদা থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি হ্যালির নিজের রাজ্য সাউথ ক্যারোলাইনা প্রাইমারিতে এগিয়ে যাবে। ট্রাম্পের দৃষ্টি এখন ৫ মার্চে ‘সুপার মঙ্গলবার’ লড়াইয়ের দিকে, যেখানে তিনি বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধিদের সমর্থন পাবেন বলে আশা করছেন।
এর ফলে ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের অনানুষ্ঠানিক প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যের আরও কাছে পৌঁছে যাবেন।
লাস ভেগাসে সংক্ষিপ্ত বিজয় ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প নিজের সমর্থকদের বলেন, আসন্ন সাউথ ক্যারোলাইনা প্রাইমারিতে জয় ঘোষণা করতে তিনি অধীর।
ট্রাম্প অগ্রণী প্রার্থী হলেও, নেভাদার ককাস তাঁর পক্ষে কাজ করবে, বিষয়টিকে সেভাবেই দেখা হচ্ছিল। কারণ, তৃণমূল স্তরে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
ককাসে সাধারণত নির্দিষ্ট দিন বা সময়ে সভার জন্য ভোটারদের সশরীরে হাজির হতে হয় । অন্যদিকে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সহজ ও সুবিধাজনক কারণ নির্বাচনের দিন অধিকাংশ সময় ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা থাকে।
একজন প্রধান প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্প এখনও নজিরবিহীন সমস্যার মোকাবেলা করছেন। এক ফেডারেল আপিল প্যানেল চলতি সপ্তাহে রায় দিয়েছে যে, ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে তিনি ছক কষেছিলেন বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তার জন্য তিনি বিচার প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারেন।