বাকিংহাম প্যালেস সোমবার জানিয়েছে যে রাজা তৃতীয় চার্লস এক ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
প্রাসাদ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চার্লসের প্রস্টেট-জনিত রোগের যে চিকিৎসা হয়েছে, তার সাথে এই ক্যান্সারের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে ৭৫ বছর বয়সী রাজার কী ধরণের ক্যান্সার হয়েছে তা জানানো হয়নি।
প্রাসাদ জানিয়েছে, গত মাসে চার্লসের প্রস্টেটের আকার বেড়ে যাওয়ার চিকিৎসার সময় ‘’আলাদা ভাবে উদ্বেগের বিষয় লক্ষ্য করা গেছে।’’ রাজপ্রাসাদ থেকে বলা হয়, “ ডায়াগনস্টিক টেস্টে এক ধরণের ক্যান্সার শনাক্ত করা হয়েছে।’’
“আজ থেকে মহামান্য রাজার নিয়মিত চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এই সময়ে ডাক্তাররা তাঁকে জনসাধারণের মুখোমুখি হওয়ার মতো দায়িত্বগুলো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন,” রাজপ্রাসাদ থেকে বলা হয়। “এই সময় মহামান্য রাজা যথারীতি রাষ্ট্রীয় বিষয় এবং সরকারী কাগজপত্র দেখার কাজ চালিয়ে যাবেন।”
এতে বলা হয়েছে, চার্লস “তাঁর চিকিৎসার ব্যপারে পুরোপুরি ইতিবাচক এবং তিনি প্রত্যাশা করেন যত দ্রুত সম্ভব সরকারি দায়িত্বে পুরোপুরিভাবে ফিরে আসবেন।”
রাজপ্রাসাদ আরও বলেছে যে রাজা “জল্পনা-কল্পনা রোধে তার রোগ নির্ণয়ের বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এই আশায় যে, বিশ্বব্যাপী যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত তাদেরকে জনসাধারণ যেন বুঝতে পারে।”
চার্লসের মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯৬ বছর বয়সে মারা যাওয়ার পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি রাজা হন।
রাজার রোগ নির্ণয়ের খবরটি এমন সময় শোনা গেল যখন তার পুত্রবধূ, প্রিন্সেস অফ ওয়েলস কেইটের পেটের অস্ত্রোপচারের পরে সেরে উঠছেন। কেইট প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক নেতারা তাঁর কাছে আরোগ্যলাভের বার্তা পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এক টুইট বার্তায় বলেন, “মহামান্য রাজার সম্পূর্ণ এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমার কোনও সন্দেহ নেই যে তিনি শীঘ্রই পূর্ণ উদ্দ্যমে ফিরে আসবেন এবং আমি জানি পুরো দেশ তার মঙ্গল কামনা করবে।’’
বিরোধী লেবার পার্টির নেতা কীর স্টারমার এক বার্তায় বলেন, ‘’আমি মহামান্য রাজার আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তাকে দ্রুত পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।’’