ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শনিবার বলেছেন, “ইউক্রেনকে বলিষ্ঠ করতে, নতুন প্রতিরক্ষা প্যাকেজ তৈরি করতে ও নতুন নিরাপত্তা সমাধান বাস্তবায়নে” ইউক্রেন ইউরোপের অন্যান্য দেশের সঙ্গে কাজ করছে।
জেলেন্সকি তার দৈনিক বক্তব্যে বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্যাকেজ ও সমাধান তৈরিতে যেসব দেশের সঙ্গে ইউক্রেন কাজ করছে, তাদের মধ্যে আছে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, লিথুয়ানিয়া ও কানাডা।
জেলেন্সকি বলেন, “মনে রাখবেন, রাশিয়া ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে যুদ্ধ শুরু করলেও এর (এই যুদ্ধের) লক্ষ্য শুধু আমাদের রাষ্ট্র বা আমাদের স্বাধীনতাই নয়”।
তিনি বলেন, "সুতরাং মুক্ত বিশ্বের দেশগুলোর মাঝে যত বেশি সম্ভব সমন্বয় সৃষ্টি এবং রাশিয়াকে পরাজিত করতে ইউক্রেনের জন্য সম্ভব বা অসম্ভব বলে বিবেচিত সব ধরনের সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মস্কো অন্য কোনো ভাষা বোঝে না"।
রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় দাবি করেছে শনিবার অধিকৃত পূর্ব ইউক্রেনের একটি শহরের এক জনপ্রিয় বেকারিতে ইউক্রেন গোলাবর্ষণ করলে সেখানে অন্তত ২৮ ব্যক্তি নিহত হন।
রুশ জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে জানিয়েছে, লিসিচানস্ক শহরে ভেঙে পড়া পাথরের নিচ থেকে এক শিশু সহ মোট ২৮ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রাশিয়া নিযুক্ত কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া হাই-মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা আরও জানান, নিহতদের গড় বয়স ৩৫। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাস এই তথ্য জানায়।
শনিবার ইউক্রেনের বিমানবাহিনী দাবি করে, তারা ইউক্রেনের মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসা ১৪টি রুশ ড্রোনের মধ্যে ৯টিকে ভূপাতিত করেছে।
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, ইরানে নির্মিত শাহেদ ড্রোনগুলো মূলত দনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের “বিদ্যুৎ উৎপাদন অবকাঠামোর” বিরুদ্ধে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল।
এই হামলায় সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে জেলেন্সকির জন্মস্থান ক্রাইভি রিগ। জেলেন্সকি জানান, কর্মীরা “যত দ্রুত সম্ভব সব গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ ফিরিয়ে আনার জন্য নিরন্তর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে”।
এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে এএফপি জানিয়েছে, ১৫ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন।