উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন যখন একটি শিপইয়ার্ড পরিদর্শনের সময় তার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি জোরদার করার আহ্বান জানালেন, তখন শুক্রবার দেশটি সাগরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উস্কানিমূলক ভাবে তাদের অস্ত্র পরীক্ষা বাড়িয়ে দেয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী তাদের পশ্চিম সাগরে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বিশ্লেষণ করে দেখছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে । তবে তারা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্রের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এবং ধরনের মূল্যায়ন জানায়নি।
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েক ঘন্টা আগে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পশ্চিম উপকূলের নামফোতে একটি শিপইয়ার্ডে অনির্দিষ্ট নৌ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় কিম তার নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার ওপর মনোনিবেশ করার অভিপ্রায় পুনর্ব্যক্ত করেন।
শুক্রবারের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ছিল ২০২৪ সালে উত্তর কোরিয়ার চতুর্থ দফা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কিম, তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের ক্রমবর্ধমান বাহ্যিক যে হুমকি, তা মোকাবিলায় পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত নৌবাহিনী গঠনের প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন।
কিমের পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান নিজেদের মধ্যে পারস্পতিক সামরিক সহযোগিতা জোরদার করেছে।
কিম কখন নামফো সফর করেছেন তা উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানায়নি। কিম কী বলেছেন তার সারমর্ম পরিবেশন করে তারা জানায়, কিম “দেশের সার্বভৌমত্ব নির্ভরযোগ্যভাবে রক্ষা এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি জোরদার করার ক্ষেত্রে” নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার বিষয়টি “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।”
নামফোতে কী ধরনের যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করা হচ্ছে কেসিএনএ তা সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি। কিন্তু কেসিএনএ বলেছে, জাহাজগুলো ২০২১ সালের প্রথম দিকে ক্ষমতাসীন দলের কংগ্রেসে নির্ধারিত পাঁচ বছর ব্যাপী সামরিক উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে সম্পর্কিত।
ওই বৈঠকে কিম অত্যাধুনিক সামরিক সম্পদের একটি বিস্তারিত উইশ লিস্ট প্রকাশ করেন। উইশ লিস্টে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন এবং পানির নিচ থেকে নিক্ষেপ করা যায় এমন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।