বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) প্রকাশিত নতুন তথ্যে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে আনুমানিক ২ কোটি নতুন কেস এবং ৯৭ লাখ মৃত্যুর তুলনায় ২০৫০ সালে নতুন ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ শতাংশ বেড়ে সাড়ে তিন কোটির বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবসকে সামনে রেখে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপেক্ষাকৃতভাবে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি দেখা যাবে নিম্ন মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই)-এর ক্ষেত্রে। এটি একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্তর পরিমাপ করার জন্য জাতিসংঘ দ্বারা তৈরি একটি টুল।
আইএআরসি'র ক্যান্সার নজরদারি শাখার প্রধান ফ্রেডি ব্রে বলেন, “আমাদের আশঙ্কা, ২০২২ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা বর্তমানের ৮০০ কোটি থেকে বেড়ে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০ বিলিয়ন বা ৯৭০ কোটিতে দাঁড়াবে এবং এটি নতুন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যায় বড় প্রভাব ফেলবে।”
নতুন অনুমানগুলোতে দেখা যায়, ২০২২ সালে ফুসফুসের ক্যান্সারে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই কোটি। বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি সংখ্যা ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী হতে পারে ফুসফুসের ক্যান্সারের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নারীদের স্তন ক্যান্সার, এরপরে রয়েছে কোলোরেক্টাল, প্রোস্টেট এবং পেটের ক্যান্সার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্তন ক্যান্সার নারীদের মৃত্যুর সবচেয়ে বেশি সনাক্তকৃত এবং প্রধান কারণ। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি হলো ফুসফুসের ক্যান্সার।
এক হিসেব অনুযায়ী দরিদ্র, স্বল্পোন্নত দেশগুলির মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্যান্সারের ঝুঁকিতে রয়েছে। আইএআরসি'র ক্যান্সার নজরদারি শাখার উপ-প্রধান ইসাবেল সোয়েরজোমাতারাম বলেন, স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে সত্য।
১১৫টি দেশে পরিচালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপে দেখা গেছে, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার অংশ হিসেবে বেশিরভাগ দেশ ক্যান্সার ও এর উপশমকারী সেবায় পর্যাপ্ত অর্থায়ন করে না।