হাঙ্গেরির আগের বিরোধিতাকে নাকচ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন ইউরো (৫৪০০ কোটি ডলার) সহায়তা প্যাকেজ দিতে বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিক্রমে রাজি হয়েছেন।
এই সমঝোতায় খুশি ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল বলেন, ইউক্রেনের সমর্থনে ইইউ নেতৃত্ব ও দায়িত্ব নিচ্ছিল এবং তারা জানে “কারা ঝুঁকিতে রয়েছে।”
মাইকেল এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে বলেন, “ইউক্রেনের জন্য দৃঢ়, দীর্ঘমেয়াদী ও প্রত্যাশিত তহবিলকে নিশ্চিত করছে এটি।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এই সর্বসম্মত ভোটকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি “ইইউ-এর মজবুত ঐক্যের প্রমাণ।”
জেলেন্সকি এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “ইউক্রেনের জন্য ইইউ-র অব্যাহত সমর্থন দীর্ঘমেয়াদী অর্থনীতি ও আর্থিক স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী করবে যা সামরিক সাহায্য ও রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞামূলক চাপ সৃষ্টির চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।”
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এ থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, ইউক্রেন তথা বিশ্বের সংকল্পকে নস্যাৎ করতে (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির) পুতিনের আশা নিরর্থক।”
ডিসেম্বরে পরিষদের সর্বশেষ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনকে চার বছরে ৫৪০০ কোটি ডলার সহায়তা প্যাকেজের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল হাঙ্গেরি। তাদের যুক্তি ছিল, এই সংস্থার বাজেট থেকে এই অর্থ দেওয়া উচিত নয়, কারণ ইউক্রেন সদস্য দেশ নয়। যদিও সহায়তা প্যাকেজের সমর্থনে বাকি ২৬টি সদস্য দেশই ভোট দিয়েছিল।
সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান রিফর্মে যুক্ত লুইগি স্যাজিয়েরি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তা কিয়েভের জন্য ভীষণ জরুরি।
রাশিয়ার ব্যাপারে ইইউ-র ঐক্যের পথে দীর্ঘদিন ধরে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক।
ওয়াশিংটনের কাউন্সিল অন ফরেন রিলেসন্সে ইউরোপ বিষয়ক ফেলো লিয়ানা ফিক্স উল্লেখ করেন, “হাঙ্গেরি শুরুতে (রাশিয়ার বিরুদ্ধে) নিষেধাজ্ঞা আরোপে যোগ দিতে অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতেও অস্বীকার করেছে তারা। তাদের দাবি পূরণের আগে পর্যন্ত ইউক্রেনকে ইইউ-র সদস্যপদের মর্যাদা দিতে অস্বীকার করেছিল হাঙ্গেরি।”