হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আশ্রয় দেয়া জাতিসংঘের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্যাংক গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় ‘সব ধরনের পদক্ষেপ’ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র গাজা বিষয়ক পরিচালক টমাস হোয়াইট বলেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে যে শহরে আক্রমণটি হয়েছে, সেই খান ইউনিসের পরিস্থিতি “মানবিক আইনের মৌলিক নীতি সমুন্নত রাখতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার” প্রমাণ দেয়।
“খান ইউনিসে বেসামরিক স্থাপনায় ক্রমাগত হামলা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। অবিলম্বে এটি বন্ধ হওয়া উচিত,” হোয়াইট বলেন। “মানুষ সেখানে নিহত ও আহত হচ্ছে। বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেয়া হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর চারপাশে লড়াই তীব্র হওয়ায় লোকজন ভেতরে আটকা পড়েছে এবং জীবন রক্ষাকারী কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।‘’
হোয়াইট বলেন, বুধবারের হামলায় অন্তত ৭৫ জন আহত হয়েছেন।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের বাহিনীর পক্ষ থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে বলে তারা মনে করে না, তবে পরিস্থিতি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, খান ইউনিসের বিস্তীর্ণ এলাকাটি হামাস জঙ্গিদের গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাঁটি।
হামাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে ইসরাইলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক লোকজনের উপর সর্বসাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, “আমরা জাতিসংঘের খান ইউনিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আজকের হামলার কঠোর নিন্দা জানাই।”
ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপে লাটসারিনি বলেন, প্রাঙ্গণটি স্পষ্টভাবে জাতিসংঘের স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এটির অবস্থান ইসরাইলের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এদিকে নতুন করে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি দেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এর অধীনে হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি জিম্মি এবং ইসরাইলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেয়া হবে এবং ভূমধ্যসাগরের সংকীর্ণ অঞ্চল গাজায় আরও সহায়তা প্রবেশের অনুমোদন দেয়া হবে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।