স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের শহরতলীর একটি বাজারে কামানের গোলার আঘাতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন।
তেকস্তিলশ্চিক নামের শহরতলীতে দুই শিশু সহ আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান দোনেৎস্কে রাশিয়া নিযুক্ত কর্তৃপক্ষের প্রধান ডেনিস পুশিলিন। তিনি গোলাবর্ষণের জন্য ইউক্রেনেরে সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন।
এই ঘটনার বিষয়ে কিয়েভ কোনো মন্তব্য করেনি এবং উল্লেখিত দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে সক্ষম হয়নি বার্তা সংস্থা এপি।
পুশিলিন জানান, অঞ্চলটিতে ১৫৫ মিলিমিটার ও ১৫২ মিলিমিটার ক্যালিবারের কামানের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে এবং এই হামলা এসেছে পশ্চিমে কুরাখোভ ও ক্রাশনোহোরিভকার দিক থেকে।
এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে “সন্ত্রাসী হামলা” হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং তার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “এইসব সন্ত্রাসী হামলা, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় এই সংঘাত নিরসনে কিয়েভে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবকে সুস্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।‘’
রুশ বন্দরে 'হামলা'
এ ছাড়া, আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানান রবিবার রাশিয়ার উস্ত-লুগা বন্দরে দুইটি বিস্ফোরণের পর একটি রাসায়নিক উপকরণ পরিবহণের টার্মিনালে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বন্দরটিতে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যার ফলে একটি গ্যাস ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে।
আগুনের ঘটনাটি যে টার্মিনালে ঘটেছে, সেটার পরিচালনার দায়িত্বে ছিল রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেক। সেইন্ট পিটার্সবার্গ থেকে এটি ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
রুশ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান আরবিসিতে প্রকাশিত এক সংবাদ বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, “বাহ্যিক প্রভাবের” কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তারা আরও জানায়, এ ঘটনার পর বন্দরে তাদের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
রাশিয়ার কিনগাইসেপ জেলায় এই বন্দরের অবস্থান। জেলার প্রশাসনিক প্রধান ইউরি জাপালাতস্কি এক বিবৃতিতে জানান, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে সমগ্র এলাকায় উচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে।