মঙ্গলবার থেকে বিদেশে বসবাসরত আনুমানিক ৩৫ লক্ষ ব্রিটিশ নাগরিক যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছেন। গত এক শতাব্দী মধ্যে দেশটির নির্বাচনী ভোটাধিকারের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি এটি।
ব্রিটেনের যেসব নাগরিক ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিদেশে বসবাস করছিলেন তাদের ভোট দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। ২০২২ সালে পার্লামেন্ট অনুমোদিত আইনটি পরিবর্তনের ফলে দেশটির ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।
১৯২৮ সালের একটি আইনে নারীদের সমান ভোটাধিকার প্রদান এবং ১৯৬৯ সালে ভোটদানের বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করার পদক্ষেপের পর এটিই নির্বাচনী আইনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। এ বছরই আরও পরের দিকে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ নাগরিকরা এখন যতদিন ধরেই বিদেশে থাকুন না কেন, তারা অনলাইনে নিবন্ধনে সক্ষম হবেন।
ব্রিটেনের নির্বাচন আইন অনুযায়ী, নিবন্ধিত প্রবাসী ভোটাররাও রাজনৈতিক দল ও প্রচারকদের অনুদান দিতে পারবেন।
২০১৯ সালে আয়োজিত গত নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য দেশের বাইরে থেকে নিবন্ধন করেন ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটার। আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় এ ধরনের ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধিকে ব্রেক্সিটের উল্লেখযোগ্য অবদান হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
সরকার অনুমান করছে, মঙ্গলবারের পরিবর্তনটি প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষকে ভোটের অধিকার দিতে যাচ্ছে। যা কিনা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ নিয়ে ২০১৬ সালের গণভোটে ১৩ লক্ষ ভোটের প্রায় তিনগুণ।
এটি ব্রিটেনের দুটি প্রধান দল কনজারভেটিভ এবং লেবার পার্টির গত ছয়টি সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে পাঁচটিতে মোট ভোটের পার্থক্যের চেয়েও বেশি।
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে দলগুলোর মোট ভোটের পরিমাণের পরিবর্তে ৬৫০টি স্বতন্ত্র নির্বাচনী এলাকায় ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট পদ্ধতির অধীনে আইনপ্রণেতাদের নির্বাচিত করা হয়। এই পদ্ধতিতে যে সব প্রার্থী বা দল তুলনামূলক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেন, তারাই বিজয়ী হন।
ব্রিটেনে বসবাসের সর্বসাম্প্রতিক নিবন্ধিত ঠিকানা ও সময় সম্পর্কে তাদের বিশদ বিবরণ দেয়ার পর, স্থানীয় কতৃপক্ষ দ্বারা যাচাই বাছাই করে প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য যোগ্য বিবেচনা করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের যোগাযোগ পরিচালক ক্রেইগ ওয়েস্টউড বলেন, "আমরা জানি বিশ্বের প্রতিটি কোণে যোগ্য ভোটার রয়েছে, তাই আমরা প্রবাসে আমাদের বন্ধু বান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের এই সংবাদ ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”