সর্বশেষ ২০২৩ সালের জনশুমারিতে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা কমেছে।
আর জনসংখ্যা কমার পরের বছরে সংসদে কমেছে নির্বাচিত সংখ্যালঘু জনপ্রতিনিধি।
দ্বাদশ সংসদে প্রায় দেড় কোটি সংখ্যালঘু মানুষের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ১৫ জন।
শতাংশের হিসেবে মাত্র ৫ শতাংশ।
তাই এই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের চাওয়া সংরক্ষিত নারী আসনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় লোকদের যেন বেশি মনোনয়ন দেয়া হয়।
দ্বাদশ সংসদে সরাসরি নির্বাচিত হওয়া ১৫ জন সংখ্যালঘু জনপ্রিতিধিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় ১৩ জন এবং স্বতন্ত্র ২ জন।
তবে, টেকনোক্র্যাট কোটায় আরও একজন সংখ্যালঘুকে মন্ত্রী করা হয়েছে।
সর্বশেষ একাদশ সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন ১৯ জন।
আর সংরক্ষিত নারী আসনে ছিলেন ৩ জন।
ওই সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগের।
তার আগে ২০১৪ সালের দশম সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্বাচিত জনপ্রনিধি ছিলো ১৮ জন।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৭৯ জন প্রার্থী অংশ নেয়।
তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ১৮ জন, স্বতন্ত্র ১৫ জন।
আর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ৪ জন, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি ২ জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ২ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ৪, তৃণমূল বিএনপি ৯ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেস ৭ জন, জাতীয় পার্টি ৪, গণতন্ত্রী পার্টি ২, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-২, জাসদ ১, গণফোরাম ১, তরিকত ফেড়ারেশন ১ প্রার্থী দেয়। এছাড়া অন্যান্য দলগুলো ৭ জনকে মনোনয়ন দেয়।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিজয়ী জনপ্রতিনিধিদের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বী ৬৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১ জন, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ৩ জনে ১ জন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ৬ জনে ২ জন এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ৩ জনে ১ জন পাশ করেছে।
নির্বাচনে পাশ করা ১৫ সংখ্যালঘুর মধ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ১১ জনের ৮ জন আওয়ামী লীগের।
এরা হচ্ছেন- রমেশ চন্দ্র সেন, সাধন চন্দ্র মজুমদার, সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী, শ্রী বীরেন শিকদার, ননী গোপাল মন্ডল, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, রনজিত চন্দ্র সরকার, প্রান গোপাল দত্ত।
আর স্বতন্ত্রদের মধ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পংকজ নাথ, জয়া সেনগুপ্ত।
তবে, গত একাদশ সংসদে তারা দুইজন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
এবার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের থেকে নির্বাচিত হয়েছেন , পার্বত্য খাগড়াছড়ি– ১ আসেনর কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (বৌদ্ধ সম্প্রদায়), পার্বত্য রাঙ্গামাট–১ থেকে দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য বান্দরবান– ১ থেকে বীর বাহাদুর উ শৈ সিং।
ফলাফলের হিসেবে দেখা যায়, নির্বাচনে ১২ দল থেকে অংশ নেওয়া কোনও সংখ্যালঘু প্রার্থী জয়ী হতে পারেনি।
একাদশ সংসদের মন্ত্রী সভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪ জন মন্ত্রী ছিলেন।
সেই হিসেবে দ্বাদশ সংসদের মন্ত্রীসভায় সংখ্যালঘুদের মন্ত্রী কমেনিও আবার বাড়েনিও।
১১ জানুয়ারি গঠিত নতুন মন্ত্রীসভায় ৪ জন সংখ্যালঘুকে মন্ত্রী করা হয়। এই ৪ জনের মধ্যে গতবারের মন্ত্রীসভা ছিলেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আর নতুন তিন জন হচ্ছেন- নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ড. সামন্ত লাল সেন (টেকনোক্র্যাট) ও কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এদের মধ্যে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন।
বাকি তিনজন পূর্ণ মন্ত্রী।
বরিশাল-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া পঙ্কজ দেব নাথ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চূড়ান্তভাবে ১৮ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেখান থেকে ১২ জন নির্বাচিত হয়েছে। বাকি ৬ জন জয়ী হতে পারে নাই। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।"
তিনি আরও বলেন, "যদিও সংখ্যালঘুর নেতারা দাবি করেন আওয়ামী লীগের যদি ৪০ শতাংশ ভোট থাকে সেখানে ১০ শতাংশ ভোট সংখ্যালঘুদের। সেই হিসেবে আওয়ামী লীগের কাছে তাদের দাবি থাকে, ৭৫টি আসনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে মনোনয়ন দেওয়ার। কিন্তু আওয়ামী লীগকে তো বাংলাদেশের বাস্তবতাও চিন্তা করতে হয়।"
যেহেতু এই সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কম, সেইক্ষেত্রে সংরক্ষিত নারী আসনে বেশি চাওয়ার একটা দাবি থাকতে পারে বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, "আসলে বেশি চাইতে তো দোষ নেই। সরকার নিশ্চয়ই সবদিক বিবেচনা করে মনোনয়ন দেবে।"
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ মাহবুব উল আলম হানিফ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "এখানে বাড়ানো-কমানোর তো কোনও বিষয় নেই। কারণ এটা ভোটের বিষয়। ভোটাররা কাকে নির্বাচিত করবে, সেটা তাদের বিষয়। ভোটারদের ওপর কোনও চাপ দেওয়া যাবে না। সংসদীয় গণতন্ত্রে ভোটার হচ্ছে আসল। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিয়েছে। এখানে আমাদের তো কিছু করার নেই।"
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "গতবার ১৯ জন ছিলো নির্বাচিত, আর তিনজন ছিলো সংরক্ষিত। মোট ২২ জন ছিলো। আর এই সংসদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ১৩ জন আর স্বতন্ত্র হলো ২ জন। সব মিলিয়ে ১৫ জন। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে এবার প্রতিনিধিত্ব আরও কমে গেলো। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।"
সংগঠনের সভাপতি নির্মল রোজারিও ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "এই সংসদে আমাদের খ্রিস্টান সম্পদায়ের কোনও প্রতিনিধি তো নেই।"
বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা পরিষদের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "আওয়ামী লীগ, তাদের সংসদে সংখ্যালঘুদের বাড়াবে নাকি কমাবে এটা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারবো না। কারণ এটা তাদের সরকার। তবে, আমি মনে করি সমাজের প্রতিটি সেক্টরে সংখালঘুদের প্রতিনিধি বাড়ানো উচিত।"
জনসংখ্যা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ও টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী চায় সংখ্যালঘুরা
সংসদে জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে জনপ্রতিনিধিত্ব চায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা।
তারা বলছেন, সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে হবে।
তার জন্য আনুপাতিক হারে জনপ্রতিনিধি দিতে হবে।
একইসঙ্গে টেকনোক্রেট কোটায় মন্ত্রীসভা মন্ত্রী চান খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা।
রানাদাশ গুপ্ত বলেন, "বারবার আমাদের দাবি ছিলো, জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সংসদে আমাদের প্রতিনিধিত্বটা করা হোক। যদিও এবারও সেটা করা হয়নি।"
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতা নির্মল রোজারিও বলেন, "আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে- খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের থেকে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে বেশি মনোনয়নের। যাতে সংসদে আমাদের প্রতিনিধি বাড়ে। আর আমাদের বড় জোরালো দাবি হচ্ছে, টেকনোক্রেট কোটায় যেন খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে একজনকে মন্ত্রী করা হয়।"
নিরাপত্তার অভাবসহ নানা কারণে দেশে কমছে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা
গত বছরের ২২ সালের জুলাই মাসের জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী দেশের সংখ্যা ছিলো ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন৷
এদের মধ্যে দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ১ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ২৪১ জন।
তারমধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১ কোটি ৩১ লাখ ৩০ হাজার ১১০ জন।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ১১ লাখ ৭ হাজার ৪৬৬ জন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭৫ জন এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৯০ জন।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর করা এই জনশুমারীর তথ্য অনুযায়ী, হিন্দু জনসংখ্যা ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বৌদ্ধ জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৬২ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ, খ্রিস্টান জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৩১ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য ধর্মের জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ১৪ থেকে কমে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশে নেমে এসেছে৷
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তহীনতায় ভোগার মতো পরিস্থিতির কারণে সংখ্যালঘু কমেছে বলে মনে করেন রাশা দাশগুপ্ত।
তিনি বলেন, "পাকিস্তান আমলে যেভাবে সংখ্যালঘুদের সংখ্যার ক্রমানবতি হয়েছে। বাংলাদেশ আমলে একইভাবে ক্রমানবতি হচ্ছে। যেমন ৪৭ সালে যখন পাকিস্তান হলো তখন পূর্ব পাকিস্তানে মোট জনসংখ্যার ২৯.৭ শতাংশ ছিলো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে দেখা যায় এই জনসংখ্যা কমে ১৯ থেকে ২০ শতাংশে। আর ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান ব্যুরো হিসেবে বলা হচ্ছে, সংখ্যালঘু কমে দাড়িয়েছে ৮.৯১ শতাংশ। এই কমে যাওয়ার মূল কারণ হলো নিরাপত্তার অভাব। নিরাপত্তার অভাবের কারণে এরা দেশ ত্যাগ করছে না, দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে।"
সংখ্যালঘু মানুষ কমে যাওয়ার ফলে তা আমাদের গণতান্ত্রিক ধারাকে দুর্বল করছে বলে মনে করেন রানা দাশগুপ্ত।
তিনি বলেন, "কিন্তু দুঃখজনক হলো কেন এটা কমছে, তার কারণ খুঁজে বের করতে রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক দলগুলো কোনও কমিশন গঠন করে নাই। চেষ্টাও করে নাই। আমরা দাবি করি, একটি কমিশন হোক, কেন সংখ্যালঘুদের হার কমছে তা বের করা হোক। এখনও যারা আছে তাদেরকে দেশত্যাগ বন্ধে কি, কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটা নিতে হবে।"
শুধুমাত্র নিরাপত্তার অভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক কমছে- এমনটা মনে করেন না নির্মল রোজারিও।
তিনি বলেন, "বিভিন্ন কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক কমছে। এখানে বড় কারণ হচ্ছে মাইগ্রেশন। এটা কম বেশি সব দেশে হচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডা চলে যাচ্ছে। এটাও ঠিক, কিছু সমস্যার কারণে কিছু লোক দেশ ছেড়েছে। আরেকটা কারণ হচ্ছে, জন্মহার। তুলনামূলকভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্মহার কম। তারা পরিবার পরিকল্পনা নিয়ম কঠিনভাবে মেনেছে। যেটা মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক তুলনামূলক কম মেনেছে।"
তার মতে, "আমরা যদি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক কমে যাওয়া ঠেকাতে পারবো। তার জন্য রাষ্ট্রের সবকিছুতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের অংশগ্রহণ করা নিশ্চত করতে হবে। রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তাদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। সংসদ, মন্ত্রীসভায় এবং সচিবালয়ে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি বাড়াতে হবে।"
হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া বলেন, "স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক কমছে। এখানে নানা দিক থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার কমছে। মন্দির, গির্জাগুলোতে হামলা হয়েছে। তাদের সম্পত্তি বেদখল হয়েছে। সংখ্যালঘু হিসেবে সব সময় একটা ভয়ের মধ্যে থাকে। যার কারণে অনেকে চলে গেছে। রাষ্ট্রের সবকিছুতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের অংশগ্রহণ করা নিশ্চত করতে হবে। রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অংশগ্রহণ থাকতে হবে। সংসদ এবং মন্ত্রীসভায় রাখতে হবে।"