উত্তর কোরিয়ার সামরিক স্থাপনার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যক্রম উন্নত করার লক্ষ্যে জাপান শুক্রবার সফলভাবে সরকারি গোয়েন্দা- তথ্য সংগ্রহ স্যাটেলাইট বহনকারী একটি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
এইচ টু এ নামের এই রকেট মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড উৎক্ষেপণ করেছে। দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। টোকিওর দ্রুত সামরিক সক্ষমতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এটি অপটিক্যাল স্যাটেলাইট বহন করে মহাকাশে যাত্রা করে।
সরকারের ক্যাবিনেট স্যাটেলাইট ইন্টেলিজেন্স সেন্টার এবং এমএইচআই এই উৎক্ষেপণকে সফল বলে ঘোষণা করে বলেছে, অপটিক্যাল-৮ স্যাটেলাইটটি সফলভাবে রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তার পরিকল্পিত কক্ষপথে প্রবেশ করেছে।
অপটিক্যাল স্যাটেলাইটটি খুঁটিনাটিসহ ছবি তুলতে পারে, তবে বিরূপ আবহাওয়ায় এর সক্ষমতা সীমিত। ১৯৯৮ সালে উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার পর জাপান গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের স্যাটেলাইট প্রোগ্রাম শুরু করে। জাপানের লক্ষ্য হলো ১০টি স্যাটেলাইটের একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা, যার মধ্যে রাডার বহনকারী স্যাটেলাইটও রয়েছে। এই স্যাটেলাইট রাতের বেলা বা বিরূপ আবহাওয়ায় কাজ করতে পারে বা সনাক্ত করতে পারে এবং সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের আগাম সতর্কতা প্রদান করতে পারে।
সফল উৎক্ষেপণের প্রশংসা করে কেবিনেট স্যাটেলাইট ইন্টেলিজেন্স সেন্টারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিরোকি ইয়াসুদা সংবাদদাতাদের বলেছেন, অপটিক্যাল-৮ জাপানের তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইয়াসুদা বলেন, “জাপানের আশেপাশের নিরাপত্তা পরিবেশ ক্রমশ গুরুতর এবং অনিশ্চিত হয়ে উঠছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। গোয়েন্দা স্যাটেলাইটগুলো বৈদেশিক বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার পাশাপাশি দুর্যোগ প্রতিক্রিয়ার কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।আমাদের বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতাকে ক্রমান্বয়ে প্রয়োগ করতে হবে।”
ইয়াসুদা বলেন, তথ্য সরবরাহ করতে স্যাটেলাইটটির কয়েক মাস সময় লাগবে।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সরকার দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধোত্তর শুধুমাত্র আত্মরক্ষায় আক্রমণের নীতি ভেঙে ২০২২ সালে জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণ করেন। তারা চীন এবং উত্তর কোরিয়ার দ্রুতগতির অস্ত্রের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে আরও হামলার সক্ষমতা তৈরি করতে ২০২২-এর এই নীতির অধীনে আগামী বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার টমাহক এবং অন্যান্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার ওপর জোর দিচ্ছেন।