শনিবার সন্ধ্যায় আফগান রাজধানী কাবুলে একটি মিনি বাসে বোমা বিস্ফোরণ ঘটলে অন্তত দু জন অসামরিক লোক নিহত এবং আর্ও ১৪ জন আহত হয়েছে। এই হামলার ঘটনাটি ঘটে কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে , শিয়া মুসলিমদের মহল্লা দাশত-এ-বারচিতে।
তালিবান নেতৃত্বাধীন কাবুল পুলিশের একজন মুখপাত্র খালিদ জাদরান এই হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন আহজতদেচর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং বোমা হামলার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তাত্ক্ষণিক ভাবে কোন গোষ্ঠীই এই প্রাণনাশী দায় নেয়নি তবে সন্দেহ করা হচ্ছে এর জন্য দায়ী ইসলামিক স্টেট সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক গোষ্ঠী ইসরামিক স্টেট -খোরাসানবা আইএস-কে।
দাশতে বার্চি এলাকায় বার বার প্রাণনাশী জঙ্গি বোমা হাশরা হয়েছে। এই সব হামলার লক্ষ্য শিয়াদের মসজিদ, স্কূল ও হাসপাতাল। আই-এসকে প্রায় সব ক’টি সাম্প্রতিক আক্রমণের কৃতিত্ব দাবি করেছে।
দু বছরেরও আগে তালিবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ আবার গ্রহণ করার পর থেকে এই গোষ্ঠীটি বড় বড় হামলা চালিয়ে এসেছে। এই সব সহিংসতায় শিয়া আফগান ও তালিবানের সদস্যসহ শত শত লোক নিহত হয়েছে।
তালিবানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ ইয়াকুব গত সপ্তাহে টেলিভিশনে ধারণ করা একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে গত এক বছরে আই-এস কে’র হামলা ৯০% কমে গেছে। তিনি এ জন্য তার সরকারের সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানকে কৃতিত্ব দেন।
তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ শনিবার এ কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন আইএস-কে’র বিরুদ্ধে অভিযান , ঐ গোষ্ঠীর আফগানিস্তান ও অন্যান্য দেশের ক্ষতি করার ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে।
সুন্নি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ইরানের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর কারমানে রক্তপাত ঘটানোর দায় স্বঅকার করেছে তবে এটা বলেনি যে তার আফগান সহযোগি এই হামলা চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আইএস-কে’কে বরাবর একটি বিপজ্জনক সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করে এসেছে।