বৃহস্পতিবার ইউক্রেন বলেছে, তাদের বিমান বাহিনী অধিকৃত ক্রাইমিয়ায় দুটি রুশ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এই লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে উপদ্বীপটির বৃহত্তম শহর সেভাস্তোপলের কাছে একটি কমান্ড পোস্টেও আঘাত হানে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর কমান্ডার মাইকোলা ওলেশচুক টেলিগ্রামে বলেছেন, “বিমানবাহিনীর পাইলট এবং যারা নিখুঁত যুদ্ধ কার্যক্রমের জন্য এই অভিযানের পরিকল্পনা করেছিলেন তাদের সবাইকে আবারও ধন্যবাদ।”
সেভাস্তোপলের মস্কো নিয়োগকৃত গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ টেলিগ্রামে লিখেছেন, আক্রমণটি “সাম্প্রতিক সময়ে সর্ববৃহৎ।”
মধ্যরাতের ঠিক পরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট ক্রাইমিয়ার ওপরে ছোঁড়া ৩৬টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ২০১৪ সালে মস্কো ক্রাইমিয়াকে নিজেদের সাথে সংযুক্ত করেছিল।
কৃষ্ণ সাগর থেকে রাশিয়ার নৌবহরকে পিছু হটতে বাধ্য করানোর উদ্দেশ্যে ইউক্রেন সম্প্রতি ক্রাইমিয়ার ওপর আক্রমণ বৃদ্ধি করেছে।
পরের সপ্তাহে নেটো এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যকার বৈঠকের সময় ড্রোনগুলো ডকেটে থাকবে। ওই বৈঠকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিমান অভিযান নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর মধ্যে বছরের শুরু থেকে সবচেয়ে বড় ধরনের আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বৃহস্পতিবার নেটোর মুখপাত্র ডিলান হোয়াইট বলেন, নেটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ “রাশিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পরে” ১০ জানুয়ারি নেটো-ইউক্রেন বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা জোরদার করার জন্য মিত্রদের ওপর চাপ দিয়েছেন। রাশিয়া প্রতিদিন ইউক্রেনের শহরগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে।
গত সপ্তাহে দুদিন রাশিয়া সবচেয়ে বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে। ওই দুদিন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে লক্ষ্য করে তারা কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্রো কুলেবা বলেছেন, নেটো- ইউক্রেন বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হলো ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করা। তিনি এই আলোচনাকে “রাশিয়ার সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধির মুখে ইউরো-আটলান্টিক ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন” বলে অভিহিত করেছেন।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।