ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিমান হামলা নিয়ে আলোচনার জন্য নেটো ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসতে চলেছেন। বছরের শুরু থেকে বড় ধরনের হামলাও এই সব হামলার মধ্যে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার নেটোর মুখপাত্র ডিলান হোয়াইট বলেছেন, নেটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ “রাশিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পরে” ১০ জানুয়ারি নেটো-ইউক্রেন বৈঠকের আহ্বান জানাবেন।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা জোরদার করার জন্য মিত্রদের ওপর চাপ দিয়েছেন। রাশিয়া প্রতিদিন ইউক্রেনের শহরগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে।
গত সপ্তাহে দুদিন রাশিয়া সবচেয়ে বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে। ওই দুদিন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে লক্ষ্য করে তারা কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্রো কুলেবা বলেছেন, নেটো- ইউক্রেন বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হলো ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করা। তিনি এই আলোচনাকে “রাশিয়ার সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধির মুখে ইউরো-আটলান্টিক ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন” বলে অভিহিত করেছেন।
মঙ্গলবার কুলেবা মিত্রদেরকে ইউক্রেনে দ্রুত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও গোলাবারুদ পাঠাতে এবং ইউক্রেনের বাহিনীকে ৩০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কুলেবা ইউক্রেনকে সহায়তা করতে এবং রাশিয়ার কূটনীতিকদের বিচ্ছিন্ন করার জন্য জব্দকৃত রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহার করার অনুমোদনেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া রাতভর দুটি ড্রোন ব্যবহার করে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী খমেলিনিটস্কি এলাকায় সেগুলোকে ভূপাতিত করেছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া খারকিভ এবং ডনেটস্ককে লক্ষ্য করে তিনটি গাইডেড মিসাইল দিয়েও হামলা চালিয়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।