ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে মাদক পাচারকারী ৯ জন দোষীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে ইরান। সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যদণ্ড কার্যকর করার নিরিখে ইরান বিশ্বের অন্যতম দেশ।
এই দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা বলেছে, “হেরোইন ও আফিম কেনা ও পাচারে”র অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আরদাবিল প্রদেশের এক কারাগারে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে।
এই সংস্থা আরও বলেছে, “মেথঅ্যামফেটামাইন, হেরোইন ও ক্যানাবিস” পাচারের দোষে বাকি ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড পৃথকভাবে কার্যকর করা হয়েছে।
আফগানিস্তান ও ইউরোপের মধ্যে আফিম চোরাচালানের প্রধান যাত্রাপথেই অবস্থিত ইরান। আফিম ব্যবহারে ইরান বিশ্বের শীর্ষস্থানে থাকা দেশগুলির অন্যতম।
২০২১ সালে মাদক ও অপরাধ বিষয়ক জাতিসংঘের দফতরের উল্লিখিত পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, ইরানে ২৮ লক্ষ মানুষের মাদকজনিত সমস্যা রয়েছে।
মাদকের অপব্যবহার ও চোরাচালান রুখতে ইরানের কর্তৃপক্ষ একাধিক প্রচারণা চালিয়েছে এবং প্রতিবেশী আফগানিস্তান থেকে পাচার হয়ে আসা বিপুল পরিমাণ আফিম বাজেয়াপ্ত করার কথা নিয়মিত ঘোষণা করা হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জুন মাসে জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের প্রথম পাঁচ মাসে মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কমপক্ষে ১৭৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরানের কর্তৃপক্ষ।
এই সংস্থা আরও যোগ করেছিল, এই সময়কালে ইরানে যত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে এই সংখ্যাটি তার দুই-তৃতীয়াংশ।
ইরান বলেছে, চূড়ান্ত আইনি প্রক্রিয়ার পরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে এ এক জরুরি পদক্ষেপ।
অ্যামনেস্টির বক্তব্য অনুযায়ী, চীন ছাড়া অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইরান।
নরওয়ে-ভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস গোষ্ঠী নভেম্বরে বলেছে, ২০২৩ সালে এই ইসলামি প্রজাতন্ত্র ৭০০ জনের বেশি মানুষের উপর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে যা আট বছরে সর্বোচ্চ।