দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্দর শহর বুসান সফরকালে বিরোধী নেতা লি জে মিয়ুঙ ছুরিকাঘাতের শিকার হবার কয়েক ঘন্টা পর মঙ্গলবার সিওলের এক হাসপাতালে তাঁকে এয়ারলিফট করে নেয়া হয়।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই নেতা এক নতুন বিমানবন্দরের নির্মাণস্থলে সংবাদদাতাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় এক ব্যক্তি তাঁর দিকে এগিয়ে আসে ও অটোগ্রাফ (সই) চায়। অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, তাঁর ঘাড়ের বাম দিকে বড় ছুরি নিয়ে ওই ব্যক্তি ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে লি হাসছিলেন।
রক্তপাত বন্ধ করতে লি-র পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি তাঁর ঘাড়ে রুমাল চেপে ধরেন। তারপর লি-কে দ্রুত পুসান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এক মুখপাত্র বলেন, হামলার পর লি সচেতন ছিলেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পুলিশ এখন জানিয়েছে, লি-র প্রাণের ঝুঁকি নেই।
সন্দেহভাজন হামলাকারীর বয়স ৬০ বা ৭০-এর কোঠায় বলে আন্দাজ করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি লি-র নাম লেখা একটি কাগজের টুপি পরেছিল।
অকুস্থলে থাকা পুলিশ অবিলম্বে ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নহাপ সংবাদ সংস্থার বয়ান অনুযায়ী, বুসানের পুলিশ বলেছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী স্বীকার করেছে যে সে লি-কে হত্যা করতে চেষ্টা করেছিল। এই হামলাকারীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হবে।
এই উদারপন্থী আইনপ্রণেতা ২০২২ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে অল্পের জন্য রক্ষণশীল নেতা ইয়ুন সুক ইয়লের কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়ল-কে উদ্ধৃত করে তাঁর এক মুখপাত্র বলেছেন, “এই ধরনের সহিংসতা কোনও পরিস্থিতিতে বরদাস্ত করা হবে না।” ওই মুখপাত্র বলেছেন, এই হামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন এবং লি-কে সেরা স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৫৯ বছর বয়সী লি সেপ্টেম্বরে তাঁর প্রতিপক্ষ ইয়ুনের নীতিকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতায় লি ২৪ দিন অনশন ধর্মঘট করেছিলেন।
গত বছর দুর্নীতি-সম্পর্কিত অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসিকিউটররা লি-কে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। এক আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল করায় সে-যাত্রায় তাঁকে জেলে যেতে হয়নি।