সোমবার একটানা বেশ কয়েকবার ভূমিকম্পের পর জাপান সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুনামি সতর্কতা কমিয়ে এনেছে। তবে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে কারণ এখনও ভয়াবহ ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর পশ্চিম উপকূলে একাধিক কম্পনে আগুন লেগে যায় এবং অনেক ভবন ধসে পড়ে। সবচেয়ে উচ্চ কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৬। কত মানুষ হতাহত হয়েছে তা এখনও অস্পষ্ট।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, বিকেল ৪টার পর জাপান সাগরের ইশিকাওয়া উপকূল ও নিকটবর্তী এলাকায় এক ডজনের বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, এই কম্পনে কমপক্ষে ছ’টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এই বাড়িগুলির মধ্যে আটকে পড়েছেন অনেকে। তিনি আরও বলেন, ইশিকাওয়া এলাকার ওয়াজিমা শহরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং ৩০ হাজারের বেশি বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া দফতর প্রাথমিকভাবে ইশিকাওয়ার জন্য বৃহত্তর সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল এবং হোনশু দ্বীপের পশ্চিম উপকূলের বাকি অংশ ও হোক্কাইডোর উত্তর প্রান্তের জন্য স্বল্প মাত্রার সুনামি সতর্কতা ও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।
এই সংস্থা বলেছে, ওই সতর্কতাকে কয়েক ঘন্টা পরে নিয়মিত সুনামি সংকেতে নামিয়ে আনা হয়েছিল, অর্থাৎ জল তখনও ৩ মিটার (১০ ফুট) উচ্চতায় উঠতে পারে। আগামী কয়েক দিন এই একই এলাকায় ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন অনুভূত হতে পারে।
জাপানের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে টিভি প্রাথমিকভাবে সতর্ক করেছে যে, পানির ঢেউ ৫ মিটার (১৬.৫ ফুট) পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছতে পারে।
এনএইচকে বলেছে, সুনামির ঢেউ বারবার ফিরে আসতে পারে এবং প্রাথমিক সংকেতের কয়েক ঘন্টা পর ক্রমাগত সতর্কবার্তা সম্প্রচার করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পনেও এই এলাকা কেঁপে ওঠে।