রয়টার্সের ফুটেজে দেখা গেছে,বুধবার বান্দা আচেহ শহরে ইন্দোনেশিয়ার ছাত্রদের বিশাল দল মিয়ানমার থেকে আসা শত শত রোহিঙ্গা শরণার্থীকে প্রত্যাবসনের দাবিতে তাদের অস্থায়ী আশ্রয়স্থল একটি কনভেনশন সেন্টারে হামলা চালায়।
মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে বান্দা আচেহ শহরের একজন পুলিশ মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেননি।
ফুটেজে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই ছিল সবুজ জ্যাকেট পরা। তারা ভবনটির বেজমেন্টের দিকে ছুটছে। সেখানে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুরা মেঝেতে বসে ভয়ে কান্নাকাটি করছে। রোহিঙ্গাদের তখন কর্তৃপক্ষের অধীনে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। কেউ কেউ তাদের জিনিসপত্র প্লাস্টিকের বস্তায় বহন করে ও ট্রাকে করে তাদের বিকল্প আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ইন্দোনেশিয়ায় ক্রমবর্ধমান প্রতিকূলতা এবং প্রত্যাখ্যানের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে। কারণ স্থানীয়রা জাতিগোষ্ঠীগত সংখ্যালঘুদের নৌকাতে করে সেখানে নিয়ে আসার ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গারা বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো রোহিঙ্গাদের আগমনের সাম্প্রতিক এই বৃদ্ধির জন্য মানব পাচারকে দায়ী করেছেন। তিনি এই মানুষদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে যখন সমুদ্র শান্ত থাকে তখন রোহিঙ্গাদের আগমনের প্রবণতা বেড়ে যায়। তারা তখন নৌকায় করে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় যায়।
ইন্দোনেশিয়ায় ইউএনএইচসিআর’এর একজন মুখপাত্রকে বুধবারের ঘটনায় মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেননি।
ইন্দোনেশিয়া ১৯৫১ সালের ইউনাইটেড নেশন্স কনভেনশন অন রিফিউজিতে স্বাক্ষরকারী নয়, কিন্তু দেশটিতে শরণার্থী এলে তাদেরকে গ্রহণ করার ইতিহাস আছে।
.অনেক বছর ধরে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ত্যাগ করেছে। সেখানে তারা সাধারণত দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা ভিনদেশী হিসেবে বিবেচিত হয়।