বুধবার ইরান বলেছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিবেদনে ‘নতুন কিছু নেই’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাসের স্থবিরতার পরে সম্প্রতি ইরান উচ্চ তেজস্ক্রিয়তা যুক্ত ইউরেনিয়াম উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে।
ইরানের শীর্ষ পরমাণু কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসলামি বলেছেন, “আমরা নতুন কিছু করিনি এবং আমাদের কার্যক্রম নিয়মতান্ত্রিক।”
“আমরা একই পরিমাণ অর্থাৎ ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছিলাম। আমরা কিছু পরিবর্তন করিনি। নতুন কোনো সক্ষমতাও তৈরি করিনি।”
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে, ইরান “অত্যধিক তেজস্ক্রিয়তা সম্পন্ন ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে, যা ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে পূর্ববর্তী উৎপাদন হ্রাসকে পরিবর্তিত করেছে।”
জাতিসংঘের এই পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, নভেম্বরের শেষ থেকে ইরান তার ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন মাসে প্রায় নয় কিলোগ্রাম হারে বৃদ্ধি করেছে।
জুন থেকে প্রায় তিন কিলোগ্রাম হারে ইউরেনিয়াম উৎপাদন করা হতো। বর্তমানে এটি আবার ২০২৩ সালের প্রথমার্ধের যে মাসে যে নয় কিলোগ্রাম করে উৎপাদন করা হতো, সেই পরিমাণে ফিরে গেছে।
ইরান সবসময়ই পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা সৃষ্টির উচ্চাঙ্ক্ষার কথা অস্বীকার করে গেছে। দেশটির জোর দিয়ে বলেছে, তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।
পারমাণবিক চুক্তির পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি আলোচনা শুরু হওয়ার সময় ইঙ্গিত হিসেবে ইরান তাদের উৎপাদন ধীর করেছিল বলে মনে হয়েছিল।
কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বিদ্বেষ তীব্র হয়েছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ আরও উস্কে দেয়ার অভিযোগ করেছে।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেন এবং ইরানের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর এক বছর পর ইরান ২০১৫ সালের চুক্তিতে নির্ধারিত সীমা মেনে চলার বিষয়টি স্থগিত করে।