সার্বিয়ার পুলিশ সোমবার জানিয়েছে, তারা অন্তত ৩৮ জনকে আটক করেছে। সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচন চলাকালে কথিত ব্যাপক অনিয়মের বিরুদ্ধে তারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। সংসদীয় ও স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের জয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৭ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর থেকে বিরোধী দল সার্বিয়া এগেইন্সট ভায়োলেন্স বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। তাদের বক্তব্য, নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতি হয়েছে, বিশেষ করে রাজধানী বেলগ্রেডে। কয়েকজন রাজনীতিক অনশন ধর্মঘট শুরু করেছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় কয়েকশো বিক্ষোভকারী বেলগ্রেডের নগর পরিষদে প্রবেশ করার চেষ্টা করে এবং জানালা ভাঙচুর করে। এরপর দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, পেপার স্প্রে ও লাঠি দিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ইভিচা ইভকোভিচ সংবাদদাতাদের বলেন, আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক শৃঙ্খলাকে সহিংস উপায়ে পরিবর্তনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, আটজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন এবং এদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
বিরোধীরা বলেছে, পুলিশ তাদের কয়েকজন সমর্থককে মারধর করেছে।
সোমবার বেলার দিকে আরও বিক্ষোভের পরিকল্পনা থাকায় পুলিশ সতর্ক করেছে যে, রাজধানীতে রাস্তা বা সেতু আটকানোকে তারা প্রশ্রয় দেবে না।
সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টি ভোট কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা ও স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সমালোচনা সত্ত্বেও তারা এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলে অভিহিত করেছে।
সার্বিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ চাইছে, তবে এই বলকান রাষ্ট্র মস্কোর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের ফলে রাশিয়ার উপর চাপানো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় যোগ দিতে তারা অস্বীকার করেছে।
আন্তর্জাতিক অধিকার রক্ষা বিষয়ক কয়েকটি নজরদারি সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, নির্বাচন চলাকালে ভোট কেনা ও ব্যালট বাক্সে কারচুপি-সহ অনেক অনিয়ম হয়েছে।
সার্বিয়া এগেইন্সট ভায়োলেন্স বৃহস্পতিবার বলেছে, ইইউ প্রতিষ্ঠান, কর্মকর্তা ও সদস্য দেশগুলিকে পাঠানো এক চিঠিতে তারা জানিয়েছে যে, নির্বাচনের ফলাফলকে তারা মেনে নেবে না। ইইউ-কেও তা করতে আহ্বান জানিয়েছে এই জোট। পাশাপাশি এই ফলাফল নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করারও ডাক দেওয়া হয়েছে।