যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকার মাঝে শুক্রবার ইসরাইলের বাহিনী গাজায় তাদের আক্রমণের আরও বিস্তার ঘটিয়েছে। ছিটমহলে মানবিক সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাজার বাসিন্দারা গাজার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশে ভারী গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলার কথা জানিয়েছেন।দক্ষিণে খান ইউনিস এবং রাফাহতেও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী গাজার মধ্য অঞ্চলের আল-বুরেজ এবং আশেপাশের বাসিন্দাদের অবিলম্বে দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এটি এই এলাকায় সম্ভাব্য স্থল হামলার ইঙ্গিত।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যে ইসরাইলের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।
ত্রাণ বিতরণ আবার শুরু করার শর্তাবলী এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত সংক্রান্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের খসড়ার ওপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোট শুক্রবার নেয়া হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এই ভোট সোমবার থেকে বিলম্বিত হচ্ছিল।
বিলম্ব হবার আংশিক কারণ ছিল খসড়ার কয়েক জায়গার ভাষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি, যার ফলে তারা প্রস্তাবকে সমর্থন করতে পারেনি।
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা
বৃহস্পতিবার সংশোধিত একটি খসড়ায় পরিবর্তনগুলো দেখা যায়। এর মধ্যে একটি হলো সহায়তা প্রদানের অনুমতির জন্য “দ্রুত সহিংসতা স্থগিত করার” আহ্বান, যা খসড়া থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সংশোধিত প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দিতে প্রস্তুত।
সহায়তা সংক্রান্ত প্রত্যাশিত ভোট গুরুত্বপুর্ণ একটি সময়ে হতে যাচ্ছে।
ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিলিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন উদ্যোগ (আইপিসি) বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, “বোমাবর্ষণ, স্থল অভিযান এবং সমগ্র জনগোষ্ঠীর ওপর অবরোধসহ” সহিংসতা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করেছে যা “বিপর্যয়কর মাত্রায়’’ পৌঁছেছে।
গাজায় হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ইসরাইলি আক্রমণ শুরু হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে বিশ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাস সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে এবং এই হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়। এর জবাবে ইসরাইল গাজায় হামলা শুরু করে।