অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের সাথে নিকারাগুয়ার সম্পর্ক উন্নয়ন;পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে আর্থিক সহায়তা চায় দেশটি


বেইজিং-এ তৃতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর গ্রেট হল অফ দ্য পিপলের বাইরে একজন চীনা সৈন্য পাহারা দিচ্ছে। ১৮ অক্টোবর, ২০২৩। ফাইল ছবি।
বেইজিং-এ তৃতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর গ্রেট হল অফ দ্য পিপলের বাইরে একজন চীনা সৈন্য পাহারা দিচ্ছে। ১৮ অক্টোবর, ২০২৩। ফাইল ছবি।

বুধবার চীন এবং নিকারাগুয়া তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। এর ফলে এশিয়ার ঐ বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্রটি সুযোগ পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মধ্য আমেরিকার এমন দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করার । আর তাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছের দেশগুলোতে বেইজিং-এর কৌশলগত উচ্চাকাঙ্খাকে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে ।

নিকারাগুয়া তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরে বেইজিং এবং মানাগুয়া ২০২১ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে। বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য পশ্চিমা দেশগুলো প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরে চীন থেকে নতুন বিনিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে,কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ওর্তেগাকে ফোন করেছিলেন।

শি জিনপিং বলেন, চীন-নিকারাগুয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। দেশটি ইতোমধ্যেই মধ্য ও লাতিন আমেরিকায় প্রধান বিনিয়োগকারী। যুক্তরাষ্ট্র ওর্তেগার প্রশাসনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করায় চীন নিকারাগুয়াকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে পারে।

কানাডা,যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রগুলোও নিকারাগুয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মার্চ মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,নিকারাগুয়া সরকার “ব্যাপক এবং নিয়মতান্ত্রিক ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে যা কিনা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।”

২০১৮ সালে ওর্তেগার সরকার দেশটির সরকার বিরোধী বিক্ষোভের ওপর রক্তাক্ত হামলা চালায় এবং বিরোধী পক্ষের কয়েক ডজন ব্যক্তিকে তারা কারাবন্দী করে। কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান প্ররোচিত করার অভিযোগ করে। ওর্তেগার সরকার ঐ বিক্ষোভকে বেআইনি ঘোষণা করেছে। অধিকার গোষ্ঠীগুলো এই সব কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে নিক্ষেপ করা হচ্ছে বলে এর নিন্দা করেছে।

নিকারাগুয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিকটবর্তী হওয়ায় দেশটি চীনের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং ক্রমশ এই অঞ্চলে জুড়ে তাদের কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করেছে। মে মাসে চীন নিকারাগুয়ার প্রতিবেশী দেশ হন্ডুরাসের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং এর নিকটবর্তী,কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র কিউবা ও ভেনিজুয়েলাকে সহায়তা প্রদান করার প্রস্তাব দিয়েছে।

XS
SM
MD
LG