হামাস বলছে, আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) মিশরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে গাজার যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে তাদের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়েহ কায়রো গিয়েছেন।
মিশর এর আগে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে, যার মধ্যে ছিল নভেম্বরের শেষে এক সপ্তাহব্যাপী অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি।
সে সময় চুক্তির অধীনে সশস্ত্র সংগঠনটি ১০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্তি দেয়।
নতুন করে সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে, যার মধ্যে আরও জিম্মি মুক্তি পাবার বিষয় রয়েছে। কিন্তু দু’পক্ষ এখনো কোন সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি।
ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদদের এক সম্মেলনে বলেন, ইসরাইল তাদের জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে মানবিক কারণে যুদ্ধে বিরতি দিতে প্রস্তুত।
তিনি আরও জানান, ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে লড়ছে না, শুধু হামাসের বিপক্ষে লড়ছে।
গাজার শাসক হামাসের যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালায়। ইসরাইল বলছে, এই সন্ত্রাসী হামলায় ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৪০ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এখনো ১০০ জনের বেশি জিম্মি গাজায় আটক আছেন। এই হামলার পর ইসরাইল হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার করে।
ইসরাইলের সামরিক প্রতিক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত গাজায় ১৯,৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়।
নিহতের সংখ্যা প্রকাশকালে তারা বেসামরিক ও যোদ্ধার সংখ্যা আলাদা করে উল্লেখ করে না। ইসরাইল বলছেন, স্থল অভিযানে এখন পর্যন্ত তাদের ১৩২ সেনা নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিবেদিত জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, এই সংঘাতে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
তাদের অনেকেই দক্ষিণ গাজার জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। কিন্তু আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশ কয়েক গুণ বেশি।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।