সোমবার আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, সার্বিয়ায় সপ্তাহান্তে আকস্মিক নির্বাচন "অন্যায্য পরিবেশে" অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে একাধিক অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। সার্বিয়ায় প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুচিচের বিরোধীরা রাস্তায় নামে। তাদের দাবি নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।
বলকান দেশটিতে রবিবারের সংসদীয় এবং স্থানীয় ব্যালট নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
বেলগ্রেডে কয়েক হাজার মানুষ প্রাদেশিক নির্বাচন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের বাইরে জড়ো হয়েছিল। তারা সেখানে "চোর, চোর" বলে স্লোগান দিচ্ছিলো। বিরোধী নেতারা সিটি নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন।
এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ভবনের চারপাশের বেষ্টনী ভেঙে ফেলে।
প্রাথমিক সরকারি গণনায় নিশ্চিত করা হয়, প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুচিচের ক্ষমতাসীন দল সংসদীয় নির্বাচনে জিতেছে। তবে বেলগ্রেডের স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে একটি বিরোধী গ্রুপ বলেছে যে নির্বাচন ছিনতাই হয়েছে। তারা বলেছে তারা এর ফলাফলের স্বীকৃতি দেবে না এবং তারা পুনরায় ব্যালট গণনার দাবি করবে।
প্রাথমিক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অধিকার পর্যবেক্ষকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি মিশন বলেছে, নির্বাচনটি "কড়া বক্তব্য, গণমাধ্যমের পক্ষপাতিত্ব, সরকারি খাতের কর্মচারিদের ওপর চাপ এবং সরকারি সম্পদের অপব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।"
উপসংহারে বলা হয়, "নির্বাচনের দিনটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়, কিন্তু ভোট প্রদান ও গণনার সময় সুরক্ষার অসঙ্গতিপূর্ণ প্রয়োগ, প্রচণ্ড ভীড়, ভোট প্রদানের গোপনীয়তার লঙ্ঘন এবং গ্রুপ ভোটের অসংখ্য উদাহরণসহ পদ্ধতিগত ঘাটতি দেখা যায়।"
২০১২ সাল থেকে ভুচিচ সার্বিয়ায় ক্ষমতাসীন। তার বিরোধীদের অভিযোগ, ভুচিচের সরকার ব্যাপক দুর্নীতি এবং সংগঠিত অপরাধের সুযোগ করে দিয়েছে, গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। বিরোধীদের এমন সমালোচনা ভুচিচ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ভুচিচের অধীনে সার্বিয়া ইইউ-র সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হয়েছিল, কিন্তু বিরোধীরা ইইউ-র বিরুদ্ধে বলকান অঞ্চলে স্থিতিশীলতার বিনিময়ে সার্বিয়ার গণতন্ত্রের ত্রুটিগুলোর প্রতি অন্ধ থাকার অভিযোগ এনেছে। ১৯৯০-এর দশকের যুদ্ধের পরে এখনো সার্বিয়াতে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে।