জাপানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার উত্তর কোরিয়া একটি দূর পাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) নিক্ষেপ করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় আঘাত করতে সক্ষম।
তিনি জানান, এটি ছিল কয়েক ঘন্টার মধ্যে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ। এর আগে পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন শক্তি প্রদর্শনকে ‘সমর’ পদক্ষেপ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
জাপানের সংসদীয় প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী শিঙ্গো মিয়াকে বলেছেন, আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্রটির ১৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে। এর অর্থ, এটি জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যেকোনো জায়গায় আঘাত করতে পারে।
রবিবার রাতে উত্তর কোরিয়া একটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পরে সোমবারের ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়। স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ৫৭০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে সমুদ্রে পতিত হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল একটি ঘন জ্বালানি চালিত আইসিবিএম। তারা মনে করেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আন্তর্জাতিক সতর্কতা এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাব উপেক্ষা করা হয়েছে, যা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
হোয়াইট হাউসের বক্তব্য
পরিষদ এক বিবৃতিতে বলেছে, কোন পারমাণবিক হামলা নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আরও কার্যকরী করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার রাতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সিউলের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ বলেছেন, সোমবারে ক্ষেপণাস্ত্রটি রাজধানী পিয়ংইয়ং-এর নিকটবর্তী একটি এলাকা থেকে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল সংলগ্ন সমুদ্রের দিকে ছোঁড়া হয়েছিল।এটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর উত্তর কোরিয়া একটি জ্বালাময়ী বিবৃতির মাধ্যমে, তাদের ভাষায়, ‘’পরমাণু যুদ্ধের পূর্বাবস্থা” তৈরি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা জানায়। রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি পারমাণবিক শক্তি চালিত আমেরিকান সাবমেরিন আগমনের নিন্দা জানায় উত্তর কোরিয়া।