বুধবার একটি মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, গত মাসে ইথিওপিয়ায় হামলায় ৫০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। দেশটির সরকার এবং একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যকার আলোচনা কোনোপ্রকার চুক্তি ছাড়াই শেষ হওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহ পরে এই হামলা হয়।
রাষ্ট্র-অধিভুক্ত স্বাধীন সংস্থা ইথিওপিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন বলেছে, ওরোমো লিবারেশন আর্মি বা ওএলএ-র যোদ্ধারা ১৭ জনকে হত্যা করেছে এবং ওরোমিয়া অঞ্চলের সীমান্তবর্তী বেনিশাঙ্গুল-গুমুজে গ্রামগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে।
ওরোমো লিবারেশন ফ্রন্ট সশস্ত্র সংগ্রাম পরিত্যাগ করার পর তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ওএলএ ২০১৮ সাল থেকে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ওরোমো লিবারেশন ফ্রন্টকে আদ্দিস অ্যাবাবা “সন্ত্রাসী সংগঠন” হিসেবে অভিহিত করে।
মানবাধিকার কমিশন বলেছে, ওরোমিয়ার আরসি জোনে অজ্ঞাত আততায়ীদের আক্রমণে আরও ৩০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক সদস্য রয়েছে।
কমিশন জানিয়েছে, "নিহতদের মধ্যে একজন শিশু, একাধিক গর্ভবতী নারী এবং ৮০ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধ রয়েছেন।… অসংখ্য মানুষ যারা আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসা করা হচ্ছে।
২১ নভেম্বর তাঞ্জানিয়ার পাঁচ বছরের বিদ্রোহের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে আলোচনার পর ২৩ থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত আক্রমণ সংঘটিত হয়। আক্রমণের জন্য প্রতিটি পক্ষ একে অপরকে দায়ী করে।
শনিবার ওরোমিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওএলএ-কে আরসি জোনে "বহু বেসামরিক মানুষের" ওপর "ভয়াবহ এবং নৃশংস" আক্রমণ চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে। সেই আক্রমণগুলো কখন হয়েছিল তার সম্পর্কে তারা বিশদ কিছু জানায়নি।
২০১৮ সালে কয়েক হাজার ওরোমো যোদ্ধা ছিল। সেই শক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পর্যবেক্ষকরা বিশ্বাস করেন, এটি সরকারের জন্য সত্যিকারের হুমকি তৈরি করার জন্য পর্যাপ্ত সংগঠিত বা সুসজ্জিত নয়।
জাতিগত গোষ্ঠী ওরোমো আফ্রিকার দ্বিতীয় জনবহুল দেশটির ১২ কোটি বাসিন্দার প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
ওএলএ-র বিরুদ্ধে সরকার গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে। এই অভিযোগ বিদ্রোহীরা অস্বীকার করে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও নির্বিচারে হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে যা ওরোমোদের ক্রোধ উস্কে দেয়।