সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে সহিংসতার পুনঃসূচনা, ইসরাইলে হামাসের রকেট নিক্ষেপ এবং দক্ষিণ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলের বিমান হামলা ও নতুন করে সামরিক স্থল অভিযানের সূচনা ও সম্প্রসারণ সম্পর্কে তার প্রচন্ড শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
গুতেরেস আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে স্বীয় বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করার জন্য সকল পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন এবং গাজায় একটি টেকসই মানবিক যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে বন্দী বাকি সকল জিম্মির নিঃশর্ত এবং অবিলম্বে মুক্তির জন্য নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন।
জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস ৭ অক্টোবর ইসরাইলে যখন তাণ্ডব চালায় ইসরাইল তখন গাজা শাসনকারী হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ইসরাইলের মতে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগ ছিল বেসামরিক নাগরিক। তারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এরপর থেকে ১০০ জনের বেশি ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগকেই মুক্তি দেয়া হয়েছে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যকার এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময়।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের বিমান এবং স্থল সেনা অভিযানে সাড়ে পনেরো হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।
১৮ লাখের বেশি গাজাবাসী যুদ্ধ এবং কিছু স্থান ত্যাগ করার ইসরাইলি আদেশের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষ উপচে পড়া জাতিসংঘের ১৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে।
গুতেরেস গাজায় মানবিক সহায়তার একটি নিরবচ্ছিন্ন, পর্যাপ্ত এবং টেকসই প্রবাহের প্রয়োজনীয়তার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সোমবার জাতিসংঘ বলেছে, স্থলভাগে বর্তমান পরিস্থিতি মানবিক চাহিদা মোকাবিলায় এর ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। রবিবার রাফাহতে সীমিত সহায়তা বিতরণ করা হয়েছিল তবে সহিংসতার কারণে পার্শ্ববর্তী খান ইউনিসে সহায়তা বিতরণ অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসরাইল গাজার খান ইউনিস শহরের আশেপাশের অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদেরকে মিশরের সীমান্তের নিকটবর্তী দক্ষিণে রাফাহতে সরে যেতে বলেছে। তাদের অনেকেই গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে এর আগে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।