যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ইরাকে একটি ড্রোন হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় পাঁচজন ইরান-সমর্থিত জঙ্গিকে হত্যা করেছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর আক্রমণের সংখ্যা বেড়ে ৭৬-এ পৌঁছেছে।
সোমবার পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং সংবাদদাতাদের বলেন , রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী জঙ্গিদের দেখেছিল। তখন তারা আক্রমণকারী ড্রোন চালাতে শুরু করেছিল এবং তাদের সেই প্রচেষ্টা থেকে বের করে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন থেকে নির্ভুল অস্ত্র নিক্ষেপ করে।
ইরান-সমর্থিত প্রক্সিরা সপ্তাহান্তে পূর্ব সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর বিরুদ্ধে দুটি মাল্টি রকেট হামলা চালায়। একটি রুমালিন অবতরণ এলাকাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়, অপরটি শাদাদ্দিতে বাহিনীকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বা অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি হয়নি।
ইরাক এবং সিরিয়ার সর্ব সাম্প্রতিক সহিংসতা এমন এক সময়ে সংঘটিত হয়েছে যখন ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা রবিবার লোহিত সাগরে তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের সাথে যুক্ত সামুদ্রিক হামলাগুলো আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
সিং আরও বলেন, আক্রমণগুলো “খুবই উদ্বেগজনক” তবে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে বা আদৌ জানাবে কিনা তা বলতে পারেনি। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জাহাজগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্র টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র চালু করেছিল যা হুথি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে তিনটি উপকূলীয় রাডার সাইট ধ্বংস করেছিল
হুথি সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি হামলার দায় স্বীকার করে বলেছেন, বিদ্রোহীরা বাব এল-মান্দেব প্রণালীতে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে একটি জাহাজে এবং আরেকটি জাহাজকে ড্রোন দিয়ে আঘাত করেছিল। বাব এল-মান্দেব প্রণালী লোহিত সাগরকে এডেন উপসাগরের সাথে সংযুক্ত করে।
.এক মাসের বেশি সময় ধরে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা ইরাকে অবস্থিত আড়াই হাজার এবং সিরিয়ায় নয়শো আমেরিকান সৈন্যের বিরুদ্ধে ড্রোন এবং রকেট হামলা চালিয়েছে।