ইন্দোনেশিয়ায় একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর সোমবার এগারোজন আরোহীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং আরও ১২ জন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকারীরা আহত এবং দগ্ধ জীবিতদের পায়ে হেঁটে পাহাড়ের নিচে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোর করছেন।
রবিবার ৩,০০০ মিটার উঁচুতে অগ্ন্যুৎপাতের ছাইয়ের উদ্গীরণ হওয়ার পরে উদ্ধারকারীরা সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট মারাপিতে আটকে থাকা কয়েক ডজন আরোহীকে খুঁজে পেতে রাতভর কাজ করেছে।
স্থানীয় উদ্ধার কর্মকর্তাদের মতে, ২,৮৯১ মিটার উঁচু অগ্ন্যুৎপাতে আশেপাশের গ্রামগুলোতে ছাই বর্ষিত হবার পরে মারাপির আগ্নেয়গিরির মুখের কাছে মৃত আরোহীদের পাওয়া গেছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, বারোজন নিখোঁজ, আরও তিনজনকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং ৪৯ জন নিরাপদে আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে নেমে এসেছে। কিছু মানুষ দগ্ধ ও হাড়ভাঙা অবস্থায় রয়েছে।
মৃত ১১ জন এবং আরও তিনজন যাদেরকে জীবিত পাওয়া গিয়েছিল, তাদেরকে এখনও পাহাড় থেকে নামানো যায়নি।
মালিক বলেন, ওই তিনজন জীবিত ব্যক্তিকে আগ্নেয়গিরির মুখের কাছে পাওয়া গিয়েছিল। “তাদের অবস্থা খুব কাহিল ছিল, কেউ কেউ পুড়ে গিয়েছিল।”
এএফপির শেয়ার করা একটি ক্লিপে একজন উদ্ধারকর্মীকে দেখা গেছে মাথায় ফ্ল্যাশলাইট বেঁধে একজন হাইকারকে বহন করছে। সে যন্ত্রণায় কাঁদছে আর বলছে, “সৃষ্টিকর্তা সর্বশ্রেষ্ঠ”। তাকে রাতের অন্ধকারেই নিরাপদ স্থানের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
উদ্ধার হওয়া হাইকারদের একজন জাফিরাহ জাহরিম ফেব্রিনা-কে আগ্নেয়গিরি থেকে একটি ভিডিও বার্তায় তার মায়ের কাছে সাহায্যের জন্য মরিয়া আবেদন জানাতে দেখা গেছে।
১৯ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থীকে হতবাক অবস্থায় দেখা গেছে,তার মুখ পুড়ে গেছে আর তার চুলে ঘন ধূসর ছাই জমে গেছে।
স্কুলের ১৮ জন বন্ধুর সাথে হাইকিং ট্রিপে পাহাড়ে আটকা পড়ার পরে সে এখন তার বাবা আর চাচার সাথে কাছের একটি হাসপাতালে রয়েছে।
তার মা রানী রাদেলানি (৩৯) বলেন, “সে প্রচন্ড মানসিক আঘাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।”
“সে মনস্তাত্ত্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কারণ সে তার শরীরের পুড়ে যাওয়া জায়গাগুলো দেখেছে। তাকে সারারাত অসহ্য ব্যাথাও সহ্য করতে হয়েছিল।”