শুক্রবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে আবার লড়াই শুরু হয়েছে।
আইডিএফ বলেছে, হামাসের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং এই জঙ্গি গোষ্ঠী ইসরাইলে রকেট হামলা শুরু করার পরে এই যুদ্ধ আবার শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
গাজায় যুদ্ধের সম্পূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসার পরও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
আইডিএফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (পূর্বনাম টুইটার)-এ বলেছে, তারা গাজা থেকে নিক্ষেপ করা রকেটকে “সফলভাবে প্রতিহত “ করেছে।
রকেট হামলার জন্য হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ দায় স্বীকার করেনি।
গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, শুক্রবারের হামলার প্রথম কয়েক ঘন্টায় অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে।
সাতদিনের যুদ্ধবিরতির পর পুনরায় এই যুদ্ধ শুরু হয়। ওই যুদ্ধবিরতিতে ৭ অক্টোবরে ইসরাইলে হামাসের আক্রমণে ইসরাইলি জিম্মি মুক্তির সাথে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময় করা হয়।
এখন পর্যন্ত হামাস ১০৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং ইসরাইল ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্যরা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বৃহস্পতিবার তেল আবিবে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
ব্লিংকেন বলেন, “গত সপ্তাহে আমরা জিম্মিদের বাড়িতে ফিরে আসার, তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হওয়ার বেশ ইতিবাচক অগ্রগতি দেখেছি এবং তা আজও অব্যাহত রাখা উচিত।এটি গাজার নিরাপরাধ বেসামরিক মানুষদের কাছে অতি প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার সরবরাহও উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করেছে।”
ব্লিংকেন শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের মাধ্যমে তার মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করবেন। সেখানে তিনি দুবাইতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে যোগদানকারী আরব বিশ্বের নেতাদের সাথে গাজা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।