তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বুধবার বলেছেন, চীন তার অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের কারণে তাইওয়ানে বড় ধরনের আগ্রাসনের কথা সম্ভবত(এখন) বিবেচনা করবে না। যদিও বেইজিং তাইওয়ানের আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
নিউইয়র্কে ডিলবুক শীর্ষ সম্মেলন ২০২৩-এ সাই বলেন, “আমি মনে করি এই মুহুর্তে চীনের নেতারা তাদের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ নিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন।”
সাই ইং এক রেকর্ড করা সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার ধারণা, তাইওয়ানে বড় ধরণের আগ্রাসনের কথা বিবেচনা করার জন্য এখন তাদের (চীনের) জন্য সম্ভবত (ঠিক) সময় নয়।”
এ মাসে, ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের মধ্যকার বৈঠক নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের পর আগ্রাসনের ঝুঁকি সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে সাই ঐ মন্তব্য করেন।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে নেতাদের আলোচনার লক্ষ্য ছিল, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাওয়া বন্ধ করা।
তবে শি এবং বাইডেনের মধ্যে তাইওয়ানের সংকট বিষয়ে অনেক মতপার্থক্য থেকে গিয়েছে। চীনের নেতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বলেছিলেন যে পুনঃএকত্রীকরণ “অপ্রতিরোধ্য।”
গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে চীন তার ভূখণ্ড বলে মনে করে। প্রয়োজন হলে একদিন তারা তা জোর করে দখল করবে।
বেইজিং এই মুহূর্তে তার অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি, আর্থিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করছে বলে সাই উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে যে যুদ্ধ কোন বিকল্প হতে পারে না।
তবে তাইওয়ানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীন এখনও “হস্তক্ষেপ করতে আগ্রহী” উল্লেখ করে সাই আরও বলেন, বেইজিং আসন্ন নির্বাচনের ফলাফল যাতে তার পক্ষে হয় তার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
জানুয়ারি মাসে স্বশাসিত তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং তা বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের নীতি নির্ধারকরা নিরীক্ষণ করছেন। কারণ এই নির্বাচনের ফলে ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী বেইজিংয়ের সঙ্গে তাইপের সম্পর্ক কি হবে তা নির্ধারিত হতে পারে।
আসন্ন নির্বাচনে সাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। কারণ সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের দায়িত্ব তিনি সম্পন্ন করবেন।