অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উত্তর কোরিয়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে পারমাণবিক প্রকল্প এগিয়ে নিতে চাইছে, বলছে যুক্তরাষ্ট্র


টিভি স্ক্রিনে একটি সংবাদ প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইট পাঠানোর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে (২২ নভেম্বর, ২০২৩)
টিভি স্ক্রিনে একটি সংবাদ প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইট পাঠানোর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে (২২ নভেম্বর, ২০২৩)

নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছে, সোমবার এমন অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। পিয়ংইয়ং এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড কাউন্সিল সদস্যদের বলেন, “ডিপিআরকে কোনো দ্বিধা ছাড়াই ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়ে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে, যা কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।” এ সময় তিনি উত্তর কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক নাম, দ্য ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করেন।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের একাধিক সনদ অনুযায়ী পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পারমাণবিক বা ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য রয়েছে। টমাস-গ্রিনফিল্ড উল্লেখ করেন, উত্তর কোরিয়া এ বছর ৩টি স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল ও ২৯টি ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, যার মধ্যে চারটি আন্তঃমহাদেশীয়।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি এই উৎক্ষেপণের পক্ষে যুক্তি দেন।

কাউন্সিলকে রাষ্ট্রদূত কিম সং বলেন, “এটি একটি বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত উদ্যোগ, যা আমাদের আত্মরক্ষার আইনসংগত অধিকারের অংশ।”

উত্তর কোরিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র “বৈরি নীতি” অবলম্বন করা এবং জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া আয়োজনের কারণে দেশটির এ ধরনের প্রযুক্তির প্রয়োজন দেখা দিয়েছে বলে তিনি যুক্তি দেন।

ওয়াশিংটন বারবার পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই উন্মুক্ত আলোচনার আহ্বান জানিয়ে এসেছে।

সোমবার টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, “ডিপিআরকে সময় ও বিষয়বস্তু নির্বাচন করতে পারে, কিন্তু তাদেরকেই সিদ্ধান্ত বেছে নিতে হবে।”

XS
SM
MD
LG