রবিবার লন্ডনে হাজার হাজার মানুষ ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে এক পদযাত্রায় অংশ নেন। গত মাস থেকে ইসরাইল হামাস যুদ্ধ শুরু হবার পর ইহুদি বিদ্বেষমূলক অপরাধ বৃদ্ধির নিন্দা জানান তারা।
ঐ পদযাত্রার আয়োজকদের হিসাব অনুযায়ী ৬০ হাজার মানুষ এতে অংশ নেয়। এর মধ্যে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, সে দেশের প্রধান র্যাবাই ইফ্রাহিম মার্ভিস এবং কয়েকজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা যোগ দেন।
এর আগে শনিবার সেন্ট্রাল লন্ডনের রাস্তাগুলোতে হাজার হাজার মানুষ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এক পদযাত্রায় অংশ নেন এবং গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
পুলিশ বলছে, জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানোর সন্দেহে অন্তত পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত মাসে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে দ্য ন্যাশনাল মার্চ ফর প্যালেস্টাইন-এর অংশ হিসেবে লন্ডন এবং ইউরোপের অনেক শহরে প্রতি সপ্তাহান্তে বড় মাপের বিক্ষোভ হচ্ছে।
শনিবারের বিক্ষোভ এমন সময়ে হলো যখন গাজায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি চলছে, যার ফলে সেখানে মানবিক ত্রাণ যাবার সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং গাজার সাধারণ মানুষ গত সাত সপ্তাহের যুদ্ধের পর একটু বিরতি পেয়েছেন।
লন্ডনের পুলিশ বিক্ষোভে ইহুদি বিদ্বেষের কথিত প্রকাশ শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের কাছ থেকে চাপের সম্মুখীন হবার পর বিক্ষোভে লিফলেট বিতরণ করে এই ধরণের কাজে সবাইকে সতর্ক করে দেয়।
পুলিশ বলছে, ঐ পদযাত্রার সময় সেখানে ১,৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
প্যারিসে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে এক পদযাত্রায় ফিলিস্তিনি এবং ইসরাইলপন্থীরাও তাতে যোগ দেয়।
কিছু বিক্ষোভকারি ফিলিস্তিনি পতাকা এবং 'ফ্রি প্যালেস্টাইন' লেখা পোস্টার বহন করেন। তারা গাজায় নিহত ফিলিস্তিনি নারীদের কথা তুলে ধরেন।
ইহুদি নারীরাও পদযাত্রায় অংশ নেন এবং হামাসের দ্বারা সংঘটিত ধর্ষণ এবং খুনের নিন্দা জানান। তারা ধ্বনি দেন, "আমরা নারী, আমরা গর্বিত, আমরা ইহুদি এবং আমরা ক্ষুব্ধ।"
ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ, লিয়ঁ, মার্সেই সহ বড় বড় শহরে ফিলিস্তিনি পন্থী বিক্ষোভ হয়েছে।
এছাড়াও অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় এই শীতের প্রথম তুষারপাতের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমাবেশ হয়েছে।