অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়ানমারের সশস্ত্র দল চীন-মিয়ানমার সীমান্তে একটি ক্রসিং দখল করেছে


সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও থেকে প্রাপ্ত এই ছবিতে, মিয়ানমারের মিউজের কাছে মিয়ানমার-চীন সীমান্তের কাছে একটি ট্রাক পুড়ে ধোঁয়া উঠছে। ( ২৩ নভেম্বর, ২০২৩)
সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও থেকে প্রাপ্ত এই ছবিতে, মিয়ানমারের মিউজের কাছে মিয়ানমার-চীন সীমান্তের কাছে একটি ট্রাক পুড়ে ধোঁয়া উঠছে। ( ২৩ নভেম্বর, ২০২৩)

মিয়ানমারের একটি জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী চীন- মিয়ানমার সীমান্ত ক্রসিং দখলে নিয়েছে বলে রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যম ও একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে। দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তার কাছ থেকে তারা এই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

গত অক্টোবরে তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সশস্ত্র জোট সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এরপর থেকেই চীন সীমান্ত নিকটবর্তী মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্য জুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সশস্ত্র দলগুলো কয়েক ডজন সামরিক অবস্থান দখলে নিয়েছে। একই সাথে তারা চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি শহরও দখল করে নেয়। ফলে অর্থসংকটে থাকা জান্তা সরকারের বাণিজ্য পথও বন্ধ হয়ে যায়।

মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি নামের তিনটি মিত্র গোষ্ঠীর একটি, কিয়েন সান কিয়াওত সীমান্ত গেট দখল করে নেয়। এমএনডিএএ-র বরাত দিয়ে কোকাং নিউজের খবরে বলা হয়, আজ সকালে মুসে জেলার মংকো এলাকায় কিয়েন সান কিয়াওত নামে আরও একটি সীমান্ত বাণিজ্য গেটও তারা জব্দ করেছে।

খবরে আরও বলা হয়, আরাকান আর্মি (এএ) এবং তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) সম্মিলিত দলটি শুক্রবার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর সীমান্ত বাণিজ্য অঞ্চল জুড়ে অবস্থান নিয়েছে।

একটি নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, কিয়েন সান কিয়াওতের সীমান্ত বাণিজ্য অঞ্চলে এমএনডিএএ তাদের পতাকা উত্তোলন করেছে।

এটি মিয়ানমার-চীন সীমান্তের একটি প্রধান বাণিজ্য পয়েন্ট বলে পরিচিত। কোভিড মহামারীর পরে ২০২২ সালে এটি পুনরায় চালু করা হয়েছিল।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে জান্তার মুখপাত্র জ মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দোষারোপ করেন। সীমান্তের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় ১২০টি ট্রাক আগুনে পুড়ে যাবার জন্য তাদের দায়ী করেন তিনি।

XS
SM
MD
LG