পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন প্রায় চার দশক ধরে আফগানদের আশ্রয় দিয়ে তার দেশ এক বিশাল বোঝা বহন করে আসছে।
ভয়েস অফ আমেরিকার উর্দু বিভাগকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আলভি কোন রকম বৈধ কাগজপত্র ছাড়া পাকিস্তানে বসবাসরত আফগানদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের সপক্ষে তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন প্রতিবেশি রাষ্ট্রের নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় তার নিজের দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এটি পাকিস্তানের উপর বিশাল এক বোঝা । আমরা গত ৩০-৪০ বছর ধরে ৩৫ লক্ষ লোককে আশ্রয় দিয়েছি। তারা আমাদের আফগান, মুসলিম ভাই। তবে তাতে আমাদের অর্থনীতি ও উপার্জনের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কারণ এই লোকগুলির সকলেই যখন চাকরি পেয়েছে তখন দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের মোট কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা যেখানে ৮ থেকে ১০ কোটি সেখানে ৩৫ লক্ষ আফগান।"
পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যা ২৪ কোটি। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি বছরের পর বছর ধরে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত। তবে তাদের অর্থনীতির একটি বিশাল অংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি এবং তা করের আওতার বাইরে। সেখানে আফগানরাও ব্যবসা বানিজ্যের মালিক এবং শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে।
প্রায় তিন দশক আগে আফগানিস্তানে সোভিয়েত যুদ্ধের পর থেকে পাকিস্তানে যেভাবে অস্ত্র আসছে সেই প্রসঙ্গে আলভি বলেন, “বলা হয় আফগানদের উপস্থিতির সাথে এখানে কালাশনিকভ সংস্কৃতিও বৃদ্ধি পেয়েছে”।
পাকিস্তানে প্রায় ৪০ লক্ষ আফগান রয়েছে যাদের মধ্যে প্রায় ১৭ লক্ষের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের মতে সেখানে বর্তমানে ১৪ লক্ষ বৈধভাবে নিবন্ধিত আফগান শরনার্থী রয়েছে এবং প্রায় ৯ লক্ষ নথিপত্রবিহীন শরনার্থী রয়েছে যারা অর্থনৈতিক কারণে পাকিস্তানে রয়েছে।