অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে মিয়ানমারের সহায়তা বিতর্ককে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মুলতবি


ক্যাপিটল ভবন, ওয়াশিংটন ডিসি। (দিয়া বেখেত/ভয়েস অফ আমেরিকা)
ক্যাপিটল ভবন, ওয়াশিংটন ডিসি। (দিয়া বেখেত/ভয়েস অফ আমেরিকা)

মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ সহায়তা নিয়ে বিতর্ক অন্তত পরের বছরের শুরু পর্যন্ত অমীমাংসিত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা এই সপ্তাহে আবারও ২০২৪ সালের জন্য চূড়ান্ত বাজেট পাস করতে বিলম্ব করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা একটি স্বল্পমেয়াদী চলমান প্রস্তাব পাস করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রস্তাব পাশ হলে আগামী বছরের শুরুর দিকে বর্তমান স্তরে সরকারকে অর্থায়ন করবে। এর মধ্যে ২০২৩ জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন বা এনডিএএ-এর অংশ হিসেবে পাস হওয়া বার্মা আইন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কিন্তু ২০২৪ সালের বাজেটের জন্য মিয়ানমারকে (বার্মাকে) সহায়তার জন্য সিনেট এবং হাউসের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি মেলাতে হবে।

ডেমক্র্যাটিক -সংখ্যাগরিষ্ঠ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট দ্বারা সৃষ্ট ২০২৪ সালের বাজেটের সংস্করণের অধীনে মিয়ানমারে ত্রাণ সহায়তা এবং গণতন্ত্র প্রচার কর্মসূচিতে আরও অর্থায়ন করতে হবে।

কিন্তু সক্রিয় কর্মীরা বিলম্ব এবং রিপাবলিকান-সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস দ্বারা পাসকৃত বাজেটের সংস্করণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এটি কিছু অর্থায়ন কমিয়ে দেবে।

এই বছরের জুলাই মাসে প্রকাশিত ২০২৪ অর্থবছরের স্বরাষ্ট্র, বৈদেশিক কার্যক্রম এবং এ সম্পর্কিত কর্মসূচীর বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রের হাউসের আইনপ্রণেতারা বর্তমান বার্মা আইন বাস্তবায়নের জন্য ৫ কোটি ডলার সুপারিশ করেছেন এবং একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বা ইউএসএআইডি-এর উন্নয়ন সহায়তার জন্য ১৪০ কোটি ডলার হ্রাসের সুপারিশ করেছেন।

২০২৩ সালের জুলাই মাসে জান্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য লুকিয়ে থাকা ও নির্বাসনে থেকে চালিত একটি ছায়া প্রশাসন মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকার এবং সহযোগী জাতিগোষ্ঠীগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহী সেনাবাহিনীর একটি ত্রয়ী ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছিল,তারা যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের কাছে ২০ কোটি ডলারের নিরস্ত্র মানবিক সহায়তাসহ ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার সহায়তা চেয়েছিল। এই সংখ্যাটি পূর্বে কংগ্রেস কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের চার গুণ হবে।

সম্বর পিটার এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।

XS
SM
MD
LG