ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি সতর্ক করেছেন যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার দেশের যুদ্ধে অচলাবস্থা একটি “আগ্নেয়গিরি যা ঘুমিয়ে আছে তবে অবশ্যই সেটি জেগে উঠবে।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মতে, যুদ্ধ যদি অচলাবস্থায় পরিণত হয়, তাহলে ইউক্রেনীয়দের ভবিষ্যত প্রজন্মকে যুদ্ধ করতে হবে। কারণ রাশিয়া “আবার আক্রমণ করবে যদি তাকে পরাজিত করা না হয়।”
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকাকে বলেছেন, যুদ্ধ “প্রযুক্তির এমন স্তরে পৌঁছেছে যা আমাদের অচলাবস্থার মধ্যে ফেলেছে।”
জেলেন্সকি স্বীকার করেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি খুবই কঠিন কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন না যে, যুদ্ধ অচলাবস্থায় পৌঁছেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যতক্ষণ না ইউক্রেনের ভূখন্ড থেকে রাশিয়া নিজেদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে, ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে সমঝোতা করবে না।
এছাড়াও বুধবার জেলেন্সকি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে ফোনে কথা বলেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রেস সার্ভিসের মতে, দুই নেতা যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়ে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং “[ড্রোন] মোকাবিলায় মোবাইল ফায়ার গ্রুপের সক্ষমতা বৃদ্ধি” নিয়ে কথা বলেছেন।
জেলেন্সকি নতুন একটি নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের জন্য কানাডাকে ধন্যবাদ জানান এবং নির্বাসিত ইউক্রেনীয় শিশুদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠনের জন্য অটোয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করেন। কানাডা ২৯ অক্টোবর মাল্টায় অনুষ্ঠিত ইউক্রেনের শান্তি ফর্মুলার ওপর জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনে জোট গঠনের প্রস্তাব করেছিল।
জেলেন্সকি এবং ট্রুডো “সর্বোচ্চ স্তরে এই উদ্যোগের বিকাশের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপগুলোর সমন্বয় করেছেন।”
অন্য একটি কূটনৈতিক পদক্ষেপে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল ইউক্রেনের ত্রাণ ও পুনর্গঠনের জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত পিয়েরে হেইলব্রনের সাথে বৈঠক করেছেন।