বাংলাদেশের ক্রিকেট উল্টো দিকে ঘুরছে বলে মন্তব্য করেছেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। এদিকে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের মতে দেশের ক্রিকেট এতোটাই পিছিয়েছে যে আগামী দুই তিন আসরেও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা নাই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফর্মেন্স বিশ্লেষণে ভয়েস অফ আমেরিকাকে এসব কথা বলেন তারা। অপরদিকে বিসিবি'র সাবেক পরিচালক খন্দকার জামিল উদ্দিন মনে করেন অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসান পুরোপুরি ব্যর্থ। পাশাপাশি কোচ হিসেবে হাথুরু সিংহের অক্ষমতা ও বিসিবি’র বেশ কিছু ভুল বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পেছনের দিকে নিয়ে গেছে বলে যুক্তি তুলে ধরেন এই তিন ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব।
সম্ভাবনায় শুরু বিতর্কে শেষ
ওয়ানডে সুপার লিগে বাংলাদেশ শীর্ষ তিনে থাকায় বাছাই না খেলেই সরাসরি বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছিলো। ধারাবাহিক জয়ে টাইগাররা পেছনে ফেলেছিলো অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তানের মত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। এমন ফলাফলে প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছিলো সমর্থকদেরও।
বিশ্বকাপে দল ভাল করবে সে আশার বাণী টুর্নামেন্ট শুরুর আগে শুনিয়েছিলেন কোচও। তবে সেই দলটিই ৯ম্যাচে ৭টিতে হেরে বিশ্বকাপ শেষ করেছে ১০দলের মধ্যে ৮ম হয়ে। জয় এসেছে কেবল আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করা বাংলাদেশ পরের ৬টি ম্যাচ টানা হেরে বাদ পড়ে সেমির দৌড় থেকে, শঙ্কা জেগেছিলো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বাদ পড়ারও। কেননা বিশ্বকাপের শীর্ষ আট দল খেলার সুযোগ পাবে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। তবে অষ্টম ম্যাচে এসে লঙ্কানদের হারালে নিশ্চিত হয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা।
যদিও লঙ্কানদের বিপক্ষে সে ম্যাচেও বিতর্কে জাড়িয়েছে বাংলাদেশ। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ‘টাইমড আউট’ করায় অনেকের কাছে সমালোচিত হচ্ছেন বাংলাদেশ দলপতি সাকিব আল হাসান। আবার কেউ কেউ সাকিবের পক্ষেও ঢাল ধরছেন। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ ‘টাইমড আউট’ নিয়মটিকেই বাজে মনে করেন। তার মতে এমন আনইথিক্যাল রুলস না থাকাই ভাল। ফারুক বলেন ‘ আনএথিক্যাল বললেও এটা নিয়মের বাইরে নয়। এরকম বাজে নিয়ম থাকলে যে কোন সময় যে কেউ কাজে লাগাতে পারে।’ যদিও সাকিবের আগে ক্রিকেট ইতিহাসে আন্তর্জাতিক ম্যাচে এর আগে আর কেউ এ নিয়ম কাজে লাগায়নি।
"প্রত্যাশিত ফলাফল হয়েছে"
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতায় অনেকে হতাশ হলেও ফারুক আহমেদ অবশ্য মনে করেন এ ফলাফল প্রত্যাশিতই ছিলো। তার মতে দল নিয়ে বিগত মাসগুলোতে যা হয়েছে তাতে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করাও "পাগলামি"। তিনি বলেন "দুইয়ে দুইয়ে চার মেলালে, লাস্ট ৬ মাসে যে কাজ করেছি আমরা এর চেয়ে ভাল পারফর্মেন্স কিভাবে হবে? সেটেল্ড ক্যাপ্টেনকে বাদ দেয়া হয়েছে। আবার ব্যাক করেছে, তার পরে বাইরে সে। এশিয়া কাপ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেয়ার জন্য শামীম পাটোয়ারি, আফিফ, ইয়াসির আলীকে ৬—৭ এ ট্রাই করেছে। কোনভাবে কেউ একটু রান করলে মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেয়া যেত। পরে বাধ্য হয়ে নিয়েছে। একটা টিম যখন এসব কাজ করে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে চায় দেশের স্বার্থ না দেখে, সে টিমের এর চেয়ে ভাল খেলার কথা না। এটা প্রত্যাশিতই ছিল।"
সাবেক এ নির্বাচক বলেন, "৫জন পেসার, দুইজন স্পিনার বিশ্বকাপ দলে, সেখানে মিডল অর্ডারে এবং ওপেনিংয়ে কোন অল্টারনেটিভ ব্যাটার নাই। এটা কি টিম; এটা কোন টিম? এটা আমরা পাগলের মতো আশা করলে তো হবেনা। যা যা ঘটেছে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে টিম নিয়ে। এটা এ´পেক্টেড ছিল আমার কাছে। আমার দু:খ হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট যেদিকে যাচ্ছিলো এখন টোটালি উল্টা দিকে টার্ন করছে।"
নেতৃত্বে ব্যর্থতা!
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব ছাড়েন তামিম ইকবাল। বিসিবি ওয়ানডে দলের জন্য অধিনায়ক করে দলের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। তাদের আশা ছিল ক্রিকেটার সাকিব অধিনায়ক হিসেবেও সফলতা দেখাবেন। কিন্ত বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বে একের পর এক ম্যাচ হারায় প্রশ্ন উঠেছে নেতৃত্বগুণ নিয়েই। বিসিবির সাবেক পরিচালক খন্দকার জামিল মনে করেন অধিনায়ক হিসেবে সাকিব একেবারেই ব্যর্থ।
সাবেক এ বোর্ডকর্তার মতে পারফরমেন্সের পাশাপাশি নেতৃত্বেও ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। তিনি বলেন, "এবারের বিশ্বকাপ যদি ধরেন, সামনে থেকে নেতৃত্ব তো দিতে পারেই নাই। দলকে চাঙ্গা করার ক্ষেত্রেও সে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। এবং এটা শোনা যায় যে ব্যাটিং অর্ডার এতো ওলট পালটের ক্ষেত্রে তার ভুমিকাই সবচেয়ে বেশি ছিলো। সুতরাং সবদিক মিলিয়ে একেবারে চুড়ান্ত রকমের ব্যর্থ একটি ওয়ার্ল্ডকাপ আমি বলতে পারি এবং আমি মনে করি সাকিব এ ক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যর্থ।"
অধিনায়ক হিসেবে যে গুণ থাকা দরকার, সাকিবের মধ্যে সে সবেরও কমতি দেখেন খন্দকার জামিল। তিনি মনে করেন, সাকিব প্লেয়ার হিসেবে সেরা হলেও অধিনায়ক হিসেবে বিবর্ণ। জামিল বলেন, "সাকিব বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার এ বিষয়ে সন্দেহ নাই। বাংলাদেশকে অনেক সম্মান এনে দিয়েছে। বাংলাদেশে ওর মাপের আর কেউ আসবে কিনা সন্দেহ। আমি মনে করি প্লেয়ার হিসেবে যথেষ্ট ভাল হলেও অধিনায়ক হিসেবে দলকে চাঙ্গা করার মতো প্রেরণাদায়ক একটা ব্যক্তিত্ব থাকতে হয় যেটা বোধ হয় সাকিবের মধ্যে অনুপস্থিত। পুরা টিমকে চাঙ্গা করার মতো অধিনায়ক সে না। এবং অধিনায়ক হিসেবে তার ক্যারিয়ারও তার নিজের ক্যারিয়ার (ক্রিকেটার সাকিব) থেকে অনেক বিবর্ণ।"
একটি অধিনায়ক দলকে মাঠে পরিচালনা করবেন তার নেতৃত্বগুণে। কিন্ত সাকিবের দল পরিচালনায় সেসব গুণের অভাব দেখেন সাবেক বোর্ড পরিচালক খন্দকার জামিল । তিনি বলেন, "অধিনায়ককে স্বাধীনতা দিতে হবে। কিন্তু স্বাধীনতা দেয়ার মানে এই না যে একেকদিন একেকজনকে একেক পজিশনে নামাবেন। দল পরিচালনার ক্ষেত্রে যে মুন্সিয়ানার প্রয়োজন, চাতুর্য দেখানোর প্রয়োজন সেটা তার মধ্যে ছিল না।"
অপরদিকে নেতৃত্বে সাকিবের দুর্বলতা দেখেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদও। "সাকিব টপ প্লেয়ার নো ডাউট, তবে মাশরাফি যেরকম সবসময় টিম ম্যন হতে চাইতো, মোটিভেশনটা অনেক বেটার ছিলো। এ ক্ষেত্রে সাকিব আলাদা। তামিমও ভাল করছিলো ওয়ানডেতে। হঠাৎ করেই সে নাই। কারণ সম্ভবত দুই তিন জন মিলে এমন একটা পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে যেখান থেকে সে রিজাইন করতে বাধ্য হয়েছে।"
'টুর্নামেন্টের মাঝে সাকিবের দল ছেড়ে আসা অগ্রহণযোগ্য’
বিশ্বকাপের মাঝে দল ছেড়ে সাকিবের দেশে আসার বিষয়টিকেও ভাল দৃষ্টান্ত মানতে পারছেন না সাবেক দুই অধিনায়ক ও সাবেক পরিচালক। তাদের মতে বিষয়টি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের মতে দলে নিয়ম—শৃঙ্খলা না থাকায় এমনটি হয়ে থাকে। তিনি বলেন, "আমরা সিস্টেম ফলো করি না। একটা ট্যুর যখন চলবে তখন কেউ স্টেশন লিভ করতে পারবে না। এটা ডিসিপ্লিনড হতেই হবে। নিয়ম কানুন থাকতেই হবে। এটা বলে দিতে হবে, ট্যুর চলাকালিন সময় কোন শুটিং, এডভারটাইজমেন্ট, স্পন্সরশিপ এগুলো করা যাবে না। তখন আর পারমিশন চাইতে পারবে না। কেননা নিয়ম সেট করা। এরকম নিয়ম তো নাই।"
এ বিষয়ে খন্দকার জামিল বলেন, "একেবারেরই গ্রহণযোগ্য না। সাকিব একজন চুক্তিবদ্ধ পেশাদার খেলোয়াড়। একজন অধিনায়ক যদি সৈন্য সামন্ত রেখে চলে আসে এ ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে বাধ্য। যে কারণে সে দেশে এসেছে সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।"
বিশ্বকাপের মাঝে দেশে আসার বিষয়টিকে ভালভাবে দেখছেননা খালেদ মাসুদ পাইলটও। সাবেক এ টাইগার অধিনায়ক বলেন, "দেশে আসছে সাকিব কোচের সাথে পরামর্শ নিতে। এরকম একটা টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে কোচকেই সেখানে নেয়া উচিৎ ছিল। তার জন্য আলাদা ব্যবস্থায় নেয়া যেত।" পাইলট আরো বলেন, "কিছু কিছু যায়গায় যে গরু দুধ দেবে তার প্রতি কিছুটা এডভান্টেজ থাকবে। কিন্তু এমন কিছু করা যাবেনা যে নিয়মের বাইরে চলে যায়। সাকিবের বেলায় কিছুই করবেন না অন্যের জন্য কঠিন হবেন এমনও করা যাবে না। তাকে অবশ্যই প্রায়রিটি দেয়া যায় তবে সে যেন বোঝে নিয়মটা ইম্পর্টেন্ট।"
যদিও প্রায়রিটির বিষয় নিয়ে দ্বিমত আছে খন্দকার জামিলের। তার মতে এ বিষয়টি দলের বড় ক্ষতি করেছে। বলেন, "সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, লিটন দাস এরা সবাই বোর্ডের চিুক্তবন্ধ খেলোয়াড়। অর্থাৎ বোর্ডে কিন্তু তারা চাকুরি করে। তাদের চাকুরি হলো খেলা। সুতরাং পেশাদারিত্বের দিক থেকে কাউকেই আলাদা করে ছাড় দেয়ার সুযোগ নাই। এরকম ছাড় দিলে অন্য যারা সিনিয়র আছে তাদের উপর প্রভাব পরে। বোর্ড যখন বলে যে তামিম মুশফিকের বিকল্প আছে সাকিবের বিকল্প নাই। তখন কিন্তু সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে এবং এই জিনিসগুলো কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আসলে ভিতর থেকে আস্তে আস্তে কুড়ে কুড়ে খেয়েছে। যার পরিণতি আজকে আমরা এ বিশ্বকাপে দেখতে পাচ্ছি।"
ভুল নিয়োগে খেসারত; প্রশ্নের সম্মুখীন বিসিবি
প্রথম মেয়াদে সফল হলেও দ্বিতীয় মেয়াদে হাথুরু সিংহের নিয়োগকে বড় ভুল বলছেন সাবেক বিসিবি পরিচালক খন্দকার জামিল। তার মতে এ ভুল দলকে ডুবিয়েছে বিশ্বকাপে। জামিল বলেন, "বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কোন নীতিতে চলে কোন চিন্তাভাবনায় চলে এটা আসলে প্রশ্নের সম্মুখীন। আমি মনে করি যে, এটা একটা বিগ কোয়েশ্চেন মার্ক।...হাথুরুসিংহে আমাদেরকে অপমান করে চলে গেলেন শ্রীলঙ্কা দলে। শ্রীলঙ্কা দল তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলো। তার পর জেলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো তার। সেখান থেকে নিউসাউথওয়েলসে সহকারি কোচের চাকুরি করছিলেন। এরকম একটা সি গ্রেড—বি গ্রেডের কোচকে কেন বাংলাদেশে আবার সব অপমান সহ্য করে নিয়ে আসতে হবে? আমি মনে করি এই কোচকে নিয়োগ দিয়ে বোর্ড সবচেয়ে বড় ব্লান্ডার করেছে। এখন তার খেসারত দিতে হচ্ছে।"
এদিকে কোচ হিসেবে হাথুরুর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন ছুড়ে ছিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, "একটা কোচ নিয়ে আসছে এই কোচের গ্রহণযোগ্যতা কি? তার জীবনে সর্বোচ্চ স্টেট টিমের এসিটেন্ট কোচ, বাংলাদেশকে দেখিয়ে শ্রীলঙ্কা টিমে গিয়েছিলো। ওখান থেকে তাকে বের করে দিয়েছিলো। সে যেভাবে টিম চালাচ্ছে একটা বাসার যে কর্তা সেভাবে যদি চালায় এভাবে তো হবে না, তাকে অন্যদের কথাও শুনতে হবে। প্রথমবারে আমি ছিলাম, যেসব কাজ করেছে, পাগলামি যা ছিল স্ট্রংলি হ্যান্ডেল করেছি, এ জন্য বেশি খারাপ করতে পারে নাই।
অপরদিকে খালেদ মাসুদ পাইলট মনে করেন সিনিয়র হটাতেই হাথুরুকে দ্বিতীয় মেয়াদে কোচ করা হয়েছে। সাবেক টাইগার দলপতি বলেন, "বোর্ড—ম্যানেজমেন্ট হয়তো চায় নাই সিনিয়র ক্রিকেটাররা থাকুক। নিজেদের সিদ্ধান্ত কোচকে দিয়ে বাস্তবায়ন করতেই বেশি টাকা দিয়ে হাথুরুকে এনেছে।"
আগামী দুই বিশ্বকাপেও সেমির আশা নেই
বিশ্বকাপের ফলাফল দেখিয়েছে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা না থাকার কারণেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের এ পশ্চাদমুখিতা বলে মনে করেন খালেদ মাসুদ পাইলট। তার মতে আগামী দুই আসরেও বাংলাদেশ বিশ্বকাপের সেমিতে উঠতে পারবেনা। পাইলটের মতে, "আগামী ৮ থেকে ১২ বছরে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনাল খেলতে পারবে না। শেষ কয়েক বছর ১০, ১২ বা ১৫ যা ই বলেন আমরা পিছিয়েছি, আগাই নাই।"
সাবেক এ টাইগার অধিনায়ক বলেন, "আমাদের ক্রিকেট উন্নতিতে পরিকল্পনা কিছুই ছিলনা। ১৫ বছর আগে আমি—আকরাম ভাই—বুলবুল ভাই; আমাদের বিট করে আশরাফুল, মাশরাফি, মুশফিক, সাকিব এরা এসেছিলো। কিন্তু এদের বিট করার মতো কেউ আসে নাই। মাহমুদুল্লাহ, সাকিব, মুশফিক যদি চলে যায় এই টিমে কি হবে? কি ভাবে আশা করবেন পরবর্তী বিশ্বকাপে ভাল করবেন? আমরা অনেক অনেক পিছিয়ে গেছি।"