১৩ নভেম্বর সোমবার জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমারে নিরাপত্তা পোস্টে হামলা চালায় বলে জানিয়েছে ওই অঞ্চলে বাসিন্দা, বিদ্রোহী এবং একজন কর্মকর্তা। দুটি নতুন ফ্রন্টে লড়াই শুরু হয়, হাজার হাজার মানুষ নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশী ভারতে পাড়ি জমায়।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছে। তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু বাহিনী অক্টোবরের শেষের দিকে একটি সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে কিছু শহর এবং সামরিক পোস্ট দখল করে।
সেনা নিয়োগকৃত প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে বলেন, বিদ্রোহের ব্যাপারে অকার্যকর প্রতিক্রিয়ার কারণে আয়তনে ফ্রান্সের সমান দেশটি ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। জেনারেলরা বলছেন, তারা "সন্ত্রাসীদের" বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন।
তিনটি সহযোগী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে একটি হলো আরাকান আর্মি (এএ), যারা পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে। তারা প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২৪ মাইল) দূরে রাথেদাউং এবং মিনবিয়া এলাকার পোস্টগুলো দখল করেছে। এএ-র মুখপাত্র খাইন থু খা একথা জানান।
রাথেদাউং-এর একজন বাসিন্দা বলেন, সোমবার ভোরের আগে গুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল এবং কয়েক ঘণ্টার আর্টিলারি বোমাবর্ষণের পরে সেনাবাহিনীকে ওই এলাকায় প্রবেশপথ অবরোধ করতে দেখা যায় এবং তারা প্রশাসনিক ভবন নিরাপদ করে।
ভারতীয় একজন কর্মকর্তা এবং হামলার বিষয়ে জ্ঞাত দুটি সূত্র জানায়, ভারতের সীমান্তবর্তী চিন রাজ্যেও যুদ্ধ শুরু হয়েছে। বিদ্রোহীরা দুটি সামরিক শিবিরে হামলা চালায়।
মিয়ানমার সীমান্তের একটি জেলার ডেপুটি কমিশনার লালরিনছনা বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রায় ৫ হাজার মানুষ লড়াই থেকে বাঁচতে এবং আশ্রয় নিতে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে প্রবেশ করেছে।
চিন রাজ্যে বছরের পর বছর ধরে মূলত শান্তি বিরাজমান ছিল। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পরে হাজার হাজার বাসিন্দা সামরিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়ে তীব্র লড়াই করে।
সর্বসাম্প্রতিক যুদ্ধের বিষয়ে মন্তব্য চেয়ে বার্তা পাঠানো হলে মিয়ানমার জান্তার একজন মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে সেটির জবাব দেননি।