যুক্তরাষ্ট্রের সেনসাস ব্যুরো বলছে, পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। আগের তুলনায় এখন মানুষ বেশিদিন বাঁচছে এবং সার্বিকভাবে জন্মহার কমছে। পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দীর্ঘমেয়াদে ধীর হচ্ছে বলে মত দেয় সংস্থাটি।
ব্যুরোর এক হিসাব মতে বৈশ্বিক জনসংখ্যা এ বছরের ২৬ সেপ্টেম্বরে ৮০০ কোটির মাইলফলক ছাড়িয়ে যায়। তবে সুনির্দিষ্ট দিনটি এক-দুই দিন আগে-পরে হয়ে থাকতে পারে বলেও সংস্থাটি জানায়।
জাতিসংঘের হিসাব মতে, ১০ মাস আগেই এই মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘ ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর একটি ঘোষণা দেয় এবং দিনটিকে “ডে অফ এইট বিলিয়ন” বলে অভিহিত করে। সেনসাস ব্যুরো তাদের বিবৃতিতে এ বিষয়টি উল্লেখ করেছে।
একেক দেশ একেকভাবে জনসংখ্যা গণনা, আবার কোনো কোনো দেশে একেবারেই জনসংখ্যা গণনা না করার প্রবণতার কারণেই মূলত এই পার্থক্য দেখা দিয়েছে। অনেক দেশে জন্ম ও মৃত্যুর ঘটনা নথিবদ্ধ করার সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল কয়েকটি দেশ, যেমন ভারত ও নাইজেরিয়া গত দশ বছরের মধ্যে কোনো জনশুমারি করেনি বলেও জানিয়েছে ব্যুরো।
পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ শতাব্দীর শুরুতে ৬০০ কোটি থেকে জনসংখ্যা এ বছর ৮০০ কোটিতে পৌঁছালেও ১৯৬০ থেকে ২০০০ এর মধ্যে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছিল। যার ফলে, জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার আগের চেয়ে ধীর হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
বর্ষীয়ানরাই মূলত সাম্প্রতিক সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বেশি অবদান রেখেছেন। বৈশ্বিক গড় বয়স এখন ৩২, যা ২০৬০ সাল নাগাদ বেড়ে ৩৯ হবে বলে আশা করা যায়।
কানাডার মতো কিছু দেশে বর্ষীয়ানদের মধ্যে মৃত্যুর হার কমেছে আবার নাইজেরিয়ার মতো কিছু দেশের ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার নাটকীয়ভাবে কমেছে।